কলকাতা: এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা সফরে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কনস্টেবল পদের ১০ শতাংশ আসন সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিয়েই নিয়োগ করা হবে।
এর আগেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের স্কুলের শিক্ষকতা থেকে অন্যান্য কাজে নিয়োগের কথা ও বিভিন্ন পরিকল্পনা হয়ছে। এবার শারীরিক সক্ষমতার মাপজোক টপকে একলাফে সরকারি পদে নিয়োগ করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে। বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত আসলে সিভিকদের কাজে লাগিয়ে ভোট আদায় করার কৌশল।
সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে কনস্টেবল পদে প্রতি ১০০টির মধ্যে ৪৪টি পদই খালি পড়ে রয়েছে। গত তিন বছরে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলে শূন্য পদের হার বেড়েছেন এবং রাজ্য পুলিশের ৪৪ শতাংশ কনস্টেবল পদ খালি পড়ে রয়েছে। পুলিশের অফিসার পদে চারটির মধ্যে একটি পদ খালি পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Kalna Scam | স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৯ লক্ষ টাকার প্রতারণা প্রধান শিক্ষকের
বুধবার টাটা ট্রাস্ট-এর নেতৃত্বে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বিচারব্যবস্থার চারটি মাপকাঠি পুলিশ, জেল, আদালত ও আইনি সাহায্যের নিরিখে রাজ্যগুলি কোথায় দাঁড়িয়ে, তার উল্লেখ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে দেশের ১৮টি বড় ও মাঝারি রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ১৭তম স্থানে রয়েছে। পুলিশ, বিচারবিভাগের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ একেবারে শেষে, ১৮-তম স্থানে রয়েছে। আদালত বা বিচারবিভাগের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে থাকার জন্য এর পিছনে রাজ্যের কম খরচকেই দায়ী করা হয়েছে। কারণ, রাজ্যে বিচারব্যবস্থার পিছনে জনসংখ্যার মাথা পিছু মাত্র ৭৫ টাকা খরচ হয়।