কলকাতা: কারিগরি শিক্ষায় বিস্তর উন্নতি করেছে রাজ্য। পালাবদলের পর থেকে গত ১২ বছরে ৩৫ লক্ষ ছেলেমেয়েদের সরকারের তরফে কারিগরি শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে উৎকর্ষ বাংলার রিভিউ মিটিংয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি এও জানান, ওই ৩৫ লক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের মধ্যে ২৬ শতাংশ সরকারি সংস্থায় কাজও করছেন। চেম্বার অফ কমার্সের কাছে আইটিআই শংসাধারীদের বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে কাজে নেওয়ারও আবেদন করেন তিনি। ইউক্রেন-সহ দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে যে সকল পড়ুয়া ফিরেছেন তাদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইউক্রেন, সুদান, মণিপুর থেকে যারা ফিরে আসছেন তারা আর ফিরে যেতে চাইছেন না। তাই তাদের জন্য ব্যবসায়ীদের ভাবনাচিন্তা করারও অনুরোধ জানান তিনি।
এদিন আলাদা করে লেদার ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, গত দু’বছরে ৫ লক্ষ চাকরি হয়েছে এই শিল্পে। তবে রাজ্যের পড়ুয়া তথা যুবসমাজকে নিয়ে আক্ষেপও শোনা যায় মমতার গলায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’বিভিন্ন হোটেলে যারা কাজ করতেন, তাদের আমেরিকা থেকে ডেকে নিয়েছে। আমাদের মেধা বাইরে চলে যাচ্ছে।’
এই বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তনের কথাও বলেন তিনি। ডাক্তারি ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি নার্সিং স্কুল, কলেজ করার কথাও বলেন। সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি করে সেমি ডাক্তার করা নিয়েও প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে, তিন মাসের মধ্যে পুলিশের সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। সাতদিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রার্থীদের কাজে নিযুক্ত করা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্যের তরফে বিভিন্ন উপায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করা হলেও তা সন্তোষজনক নয়। তাই রাজ্যে কর্মসংস্থানের জন্য এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জকে স্কিল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে। পাশাপাশি রাজ্যে শিল্পের উন্নতির জন্য জেলায় জেলায় সিনার্জি ও বিজিবিএসের জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটিও তৈরি করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি চেম্বার অব কমার্সকে নিজস্ব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরামর্শও দেন তিনি।