নয়াদিল্লি: জাতীয় মহিলা কমিশনের ৩০তম প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের অভিনন্দন জানালেন। সমাজে যেসব নারী পরিবর্তন আনছেন তাঁদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যেকোনও ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে পুরুষের অবদান কোথাও নারীর চেয়ে কম নয়। সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সমাজে নারীদের সচেতনতার বাণী আওড়ে গেলেন।
তাঁর ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, পরিবর্তনশীল ভারতে মহিলাদের ভূমিকা ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। তাই জাতীয় মহিলা কমিশনের ভূমিকার সম্প্রসারণও এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, আজ দেশের সমস্ত মহিলা কমিশনকে তাঁদের পরিধি বাড়াতে হবে এবং রাজ্যভিত্তিক মহিলাদের একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, নিউ ইন্ডিয়ার উন্নতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বাড়ছে। নারী কমিশনের উচিত যতটা সম্ভব সমাজের উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের এই ভূমিকার প্রচার করা। তিনি বলেন, গত ৭ বছরে দেশের নীতিমালা নারীর প্রতি আরও সংবেদনশীল হয়েছে। বর্তমানে ভারত সেই দেশগুলির মধ্যে একটি যা সর্বাধিক মাতৃত্বকালীন ছুটি দেয়। কম বয়সে বিয়ে যাতে কন্যাশিশুদের লেখাপড়া ও কর্মজীবনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য কন্যাদের বিয়ের বয়স ২১ বছর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বহু শতাব্দী ধরে ভারতের শক্তি আমাদের ক্ষুদ্র স্থানীয় শিল্প, যাকে আমরা আজ MSME বলি। এসব শিল্পে পুরুষের ভূমিকা যতটা ঠিক ততটাই নারীর। পুরোনো চিন্তাধারা নারীর দক্ষতাকে গৃহস্থালির কাজ হিসেবে বিবেচনা করত। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পুরনো এই চিন্তাধারার পরিবর্তন প্রয়োজন। মেক ইন ইন্ডিয়া আজ একই কাজ করছে। স্বনির্ভর ভারত অভিযান মহিলাদের এই ক্ষমতাকে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করছে।
আরও পড়ুন: Mamata Vs Dhankar: রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৪ বার চিঠি মমতার
প্রতিষ্ঠা দিবসের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, জাতীয় মহিলা কমিশন প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তিতে অনেক অভিনন্দন। ৩০ বছরের মাইলফলক৷ তা একজন ব্যক্তির জীবনে হোক বা একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় নতুন দায়িত্ব নেওয়ার, নতুন শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময়।
এ দিনের অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘শি দ্য চেঞ্জমেকার’। জাতীয় মহিলা কমিশন প্রতিষ্ঠা দিবসে এই অনুষ্ঠান উদযাপনের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের সফলতা উদযাপন করা। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মহিলা কমিশন, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, মহিলা উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী সমিতি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।