Friday, June 13, 2025
HomeCurrent Newsচতুর্থ স্তম্ভ: সিপিএমের ভণিতা

চতুর্থ স্তম্ভ: সিপিএমের ভণিতা

Follow Us :

২০২১ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে, শুধুমাত্র অনুদানের রাজনীতি বলে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি, বললেন রাজ্য এসএফআইয়ের সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র। তিনি আরও বললেন, আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি, তৃণমূল বিজেপি সম দূরত্বের কথাও মানুষ মেনে নেননি। বললেন না, লিখে জানালেন দলকে, সিপিএম নেতৃত্বকে। সিআইটিইউ’র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাউ অবশ্য তা মনে করেন না, তিনি বললেন আসলে মিডিয়া তৃণমূল আর বিজেপি এই দু’দলের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে এক দ্বিমুখী লড়াই, মানে মাঠে আছে কেবল তৃণমূল আর বিজেপি, এমন এক লড়াইয়ের ছবি তুলে ধরেছিল, সেটাই ছিল বিপত্তির কারণ। আর এরই সঙ্গে তিনি মনে করেন, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন সংগঠনের নো ভোট টু বিজেপি প্রচার তৃণমূলকে সাহায্য করেছে, মানে জিতিয়ে দিয়েছে।

সিআইটিইউ’র রাজ্য কমিটির, পার্টি নেতৃত্বের, মাত্র দু’জন মনে করেন কংগ্রেস, আইএসএফের সঙ্গে জোট করা উচিত হয়নি, মানে গরিষ্ঠাংশই মনে করেন এই মোর্চা তৈরির সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। সিআইটিইউ’র ধারণা, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীর ভোট সাধারণভাবে সংযুক্ত মোর্চাই পেয়েছে, কী কাণ্ড বলুন তো, তথ্য বলছে এবারে তৃণমূল অন্যান্যবারের চেয়ে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অনেক বেশি ভোট পেয়েছে, কিন্তু সিআইটিইউ সে কথা মানে না, এবং মনে করে একইভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, মানে দু’জনেই সমান শত্রু। ওদিকে কৃষক সভার সম্পাদক অমল হালদার জানাচ্ছেন, নেতৃত্বের ১৮ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে, ২ জন আলোচনায় থেকেছেন, কিন্তু কিছু বলেন নি, বাকি ১৩ জনের মধ্যে ১২ জন মনে করেন কংগ্রেস আইএসএফকে নিয়ে মোর্চা গঠন ছিল চরম ভুল, তাঁরা তীব্র বিরোধিতা করেছেন, জানিয়েছেন বিজেমূলের তত্ত্ব মানুষ গ্রহণ করেনি। তাঁদের মতে ভিক্ষা চাই না কাজ চাই – এই শ্লোগান তোলা ভুল হয়েছে, শেষে বলছেন, দলের নেতৃত্ব সমাজতন্ত্রের বৈপ্লবিক পথ থেকে সরে নব্য উদার নীতির পক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করায়, মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ওফ ভাবা যায়, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব উদার নীতির পক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করছে, বলছেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য। আরও একজন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য অমিয় পাত্র, যিনি ক্ষেত মজুর সংগঠনের নেতৃত্ব দেন, তিনি তাঁর সংগঠনের পক্ষে প্রশ্ন করেছেন, আইএসএফের পরিচিতি কী? অতীত কী? জনপ্রিয়তার ভিত্তি কী? তারা প্রথমে তৃণমূলের কাছে যায়, প্রত্যাখ্যাত হয়, তারপর আমাদের কাছে আসে, আমরা সাদরে গ্রহণ করি।

এরফলে সিপিএমই যে প্রধান ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি, এই বিশ্বাসে চিড় ধরে। ওই ক্ষেত মজুর কমিটির ৫ জন, কংগ্রেসের সঙ্গেও জোট করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন, এরপর এই ক্ষেত মজুর সংগঠনের রিপোর্টে মাও সে তুংয়ের কথা কোট করা হচ্ছে, বলা হচ্ছে, ‘শ্রেণির কাছে ফিরে যাও, নিজস্ব শক্তির বিকাশ ঘটাও, গণসংগ্রামই পথ এবং একমাত্র পথ।’ এই রিপোর্টের একজায়গায় বলা হয়েছে, বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই অনেক ভুল সিদ্ধান্তের ফলে, দল সাধারণ মানুষ, কৃষক মজুর, শ্রমিক শ্রেণির থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু ছাত্র সংগঠনের সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য তাঁর রিপোর্টে বলেছেন, ২০২৪ এ লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী মুখ হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের মতে, তা হলে এই রাজ্যে ওই বিজেপি তৃণমূল বাইনারি ভাঙা কঠিন হয়ে যাবে। এই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন, তা পার্টি জানতেই পারছে না, নির্বাচনে আগে দল, কর্মীরা ভেবেছিলেন তৃণমূল হারছেই, লড়াই এবার বাম বিজেপির। মানে পার্টির মেকানিজম দিয়ে সঠিক তথ্য আসছে না, তাই পেশাদারি সংস্থা নিয়োগ করা উচিত, মানে এসএফআই চাইছে পিকে বা আই প্যাকের মত পেশাদারি সংস্থার সাহায্য, ক্ষেত মজুর সংগঠন মাও আওরাচ্ছে, ছাত্র সংগঠন আই প্যাক বা পিকে চাইছে। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মত, নির্বাচনের আগে সিপিএমকে ভোট দিলে মানুষ কী পাবে, সেটা জানানো ভীষণ দরকার, ওই সরকারি ভাতা মানেই দান ইত্যাদি প্রচার, দলের পক্ষে যায়নি। আইএসএফ কংগ্রেস মোর্চা নিয়ে এসএফআই নেতৃত্বের একরকম মত নয়, কেউ মনে করেন মোর্চা মানুষ মেনে নেয়নি, কেউ মনে করেন মোর্চা তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কিন্তু মানুষকে তা বোঝানো যায়নি।

মহিলা সংগঠনের কনীনিকা ভট্টাচার্যের রিপোর্ট বলছে, আইএসএফ মানেই আব্বাস সিদ্দিকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, বোঝাপড়া বড্ড দেরিতে হয়েছে তাই মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, দু’দলের মেরুকরণের বাইনারি ভাঙা যায়নি, এবং নো ভোট টু বিজেপি প্রচারের পুরো লাভটাই তুলেছে তৃণমূল দল। তাঁদের বক্তব্য, দল মহিলাদের কম গুরুত্ব দিয়েছে, তৃণমূল ৪৮ জন, বিজেপি ৩৭ জন মহিলা প্রার্থী দিলেও মোর্চা মাত্র ২৯ জন মহিলাকে প্রার্থী করেছে, কেন? তাঁদের বক্তব্য দলের মধ্যে সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা বজায় আছে। আর সায়নদীপ মিত্র, সম্পাদক যুব ফেডারেশন, কিন্তু ওই তৃণমূল বিজেপি সম দূরত্বের রাজনীতি, ঠিক নয় বলেই তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, আইএসএফ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এই রিপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, শিল্পায়ন এবং কর্মসস্থানের যে মডেল বামফ্রন্ট তুলে ধরেছিল, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে গেছে, মানুষ গ্রহণ করেনি। সব শেষে কমরেড সায়নদীপ মিত্র জানিয়েছেন, এর পরের নির্বাচন, বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া করেই লড়া উচিত। মানে বোঝা গেলো? দলের ৬ টা গণসংগঠনের রিপোর্ট এতটাই পরস্পর বিরোধী যে, তার থেকে দলের কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা অসম্ভব, কিন্তু আসতে হবে। অতএব দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিই বলুন, আর রাজ্য কমিটির ২৪ পাতার রিপোর্টই বলুন, তা পরস্পর বিরোধী হতে বাধ্য, হয়েছেও। ভ্যাবাচাকা খাওয়া ভোম্বলের মত ওই, ইয়ে, না, কই, কোঁৎ, আসলে ইত্যাদিতে ভরা সেই রিপোর্টের প্রথমেই বলা হয়েছে যে, এই বিরাট বিপর্যয়ের দায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী নিয়েছে, কিন্তু বলেননি, দায় নেবার মানেটা ঠিক কী? দায় নিয়ে কেউ সরে গেলেন? কারোর বোকামি বা অতি চালাকির জন্য কোনও শাস্তি দেওয়া হল? নিজে বিধায়ক হবার জন্য যে অসীম কৌশলের রাস্তা নিলেন কমরেড মহম্মদ সেলিম, তারজন্য কি তিনি সরে গেলেন, বা তাঁকে বলা হল, এবার আসুন। না বলা হয়নি, কিন্তু জানানো হল যে, এর দায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী নিয়েছেন।

হারের কারণ কী? সিপিএম দলের রিপোর্ট বলছে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে মোর্চায় নেওয়ার ব্যাপারে, রাজ্য কমিটিতে আলোচনা হয়নি কারণ সময় ছিল না, ভাবুন একবার, একটা উটকো দলকে নিয়ে মোর্চা তৈরি হচ্ছে, দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক ডাকার সময়ই পেলেন না কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্র। এই রিপোর্টেই তথ্য দেওয়া হয়েছে যে ২০১১ নয়, আসলে ২০০৮ থেকেই ক্রমাগত কমেছে দলের সমর্থন, এর আগে এই কথা কিন্তু কোথাও বলা হয়নি, কিন্তু দু’জনেই সমান শত্রু, একইভাবে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে, তা নিয়ে রাজ্য কমিটির বক্তব্য খুব পরিস্কার, রিপোর্টে বলা হয়েছে সম দূরত্বের তত্ত্ব সঠিক ছিল, এবং তা বজায় থাকছে। আবার ওই রিপোর্টের শেষে বলা হয়েছে, ‘সম দূরত্বের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছিল’, আসলে গণসংগঠনগুলোর এই বিপরীতমুখি রিপোর্ট দলকে কোন সিদ্ধান্তেই আসতে দেয়নি, সিদ্ধান্তহীনতার সেই পুরনো অসুখ বজায় রয়েছে, বলা হয়েছে জনবিচ্ছিন্নতা বেড়েছে, কিন্তু জনবিচ্ছিন্নতার জট কাটাতে কী করিতে হইবে? না গতানুগতিক সংগঠন বাড়াও, মানুষের কাছে যাও ছাড়া কোনও উল্লেখযোগ্য কথা নেই। মানে এক ধারে ক্ষেত মজুর সমিতি, মাও সে তুং কোট করছেন, গো টু দ্য মাসেস, সেটাও দল বললো না, আবার ছাত্র সংগঠন বলছে, একটা পি কে দরকার, দরকার পেশাদারি সাহায্য, দল সেটাও বললো না। বরং সবটাই অন্য কারোর ঘাড়ে চাপানোর প্রচেষ্টা বিদ্যমান, ধরুন ২০১১ সালে কং তৃণমূল জোট হয়েছিল, এই জোটের জন্যই সরকার হয়েছিল, টিঁকলো না কেন?

সিপিএমের মনে হয়েছে, আসলে তৃণমূল – বিজেপি আরএসএসের সঙ্গে, গোপন আঁতাতবদ্ধতার দায় থেকেই তৃণমূল ওই জোট ভেঙেছিল, বেশ, তাহলে ২০১৬? এবার নাকি বিজেপির সাহায্যে বামেদের সম্ভাবনাকে নষ্ট করা হল, মানে আবার বিজেপি তৃণমূল গোপন আঁতাত, তারপর ২০১৯। এবার নাকি কংগ্রেস, আসন সমঝোতায় বাধা দিয়ে, বিজেপির শক্তিবৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে, সেই কংগ্রসের সঙ্গে এবারে জোট করা হল, যারা নাকি গতবার বিজেপিকে জিততে সাহায্য করেছে। আর এবারে অর্থ আর মিডিয়া তৈরি করেছে মেরুকরণ, না হলে তো এরকম রেজাল্ট হবার কথাই নয়!!

রেজাল্ট বেরিয়েছে ২ মে ২০২১, আর দেড় মাস পরে সিপিএম তার ফলাফলের পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দিল, যে রিপোর্ট আসলে কিসসু বলে না, বলে না যে এই ব্যর্থতা কাদের জন্য, তাঁরা পদত্যাগ করছে কি না, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে কি না, অথচ এই দলই হাসপাতাল থেকে ৩৬ টা রেমসিডিভির ইনজেকশন চুরি হয়েছে বলে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে, করাই উচিত, কিন্তু দল ২০০৬ এ ২৩৫ থেকে আজ শূণ্য, কে দায়ী, কারা দায়ী? তা নির্ধারণ করে না, কেউ দায় নিয়ে সরেও যায় না। দায় দায়িত্বও ছেড়ে দিন, আগামী দিনে কী হবে? গণসংগঠনগুলোর এই যে তীব্র বিপ্রতীপ মতামত, তার কী হবে? সে নিয়ে দল কী ভাবছে, তাও এই রিপোর্টে নেই, তবে এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্যের রিপোর্ট বলছে ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠতেই পারেন, বিজেপি বিরোধী মুখ, যার লক্ষণ বেশ পরিস্কার, তখনও কি দলের রাজ্য কমিটি সম দূরত্বের তত্ত্ব নিয়ে বসে থাকবে? নাকি ক্ষেত মজুর সভার অমিয় পাত্রের কথামত, মাও সে তুংয়ের উপদেশ নিয়ে গো টু দ্য মাসেস, গণ আন্দোলনই পথ, একমাত্র পথ, তা মেনে চলবে? নাকি যুব সংগঠনের রিপোর্ট মোতাবেক, কেবল বামপন্থীদের নিয়েই নতুন মোর্চা তৈরি করবে, বা করার চেষ্টা করবে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া তো কোনও উপায় নেই, কারণ সপ্তদশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যালোচনায়, সি পিআইএম নেতারা কিছুই বলেননি, ভনিতা করেছেন মাত্র।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Iran-Israel | মোসাদের হা/মলা/য় নিহ/ত ইরানের সেনাপ্রধান, এবার কী হবে? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
00:00
Video thumbnail
Narendra Modi | প্রয়াত বিজয় রূপানির স্ত্রী’র সঙ্গে দেখা করলেন নরেন্দ্র মোদি, কী কথা হল?
00:00
Video thumbnail
Iran-Israel | ইরান-ইজরায়েল যু/দ্ধ শুরু, ইরানের পাশে কোন কোন দেশ? কী করবে আমেরিকা?
00:00
Video thumbnail
Air India Incident | আমার চোখের সামনেই...কী হয়েছিল বিমানে? সব জানালেন একমাত্র জীবিত যাত্রী
00:00
Video thumbnail
Santanu Sen | TMC | বিগ ব্রেকিং, শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, এবার কী হবে?
00:00
Video thumbnail
Narendra Modi | প্রয়াত বিজয় রূপানির স্ত্রী’র সঙ্গে দেখা করলেন নরেন্দ্র মোদি, কী কথা হল?
02:44
Video thumbnail
Vidhan Sabha | বিধানসভা গেটের সামনে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, কী বলছেন শুনুন
02:25
Video thumbnail
Nabanna Meeting | নবান্নে আজ বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্প নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, কী কী বিষয়ে আলোচনা?
02:39
Video thumbnail
Santanu Sen | TMC | চার্জশিটের পর মুখ খুললেন শান্তনু, কী বললেন শুনুন
52:41
Video thumbnail
Iran-Israel | ইজরায়েলের অ্যা/টা/কে ইরানের সেনাপ্রধান সহ আর কারা কারা নি/হ/ত?
01:22:00