সব কিছু ঠিকঠাক চললে ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাবের দায়িত্ব নিতে চলেছেন মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করা স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে ১৫ মে-র পর তিনি দলের দায়িত্ব নেবেন।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব হল ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাব। এ বছরের পয়লা বৈশাখ সাড়ম্বরে যাত্রা শুরু করেছে এই ক্লাব। তারপর আই এফ এ থেকে প্রথম ডিভিশনে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে তারা। তখন ঠিক ছিল ক্লাবের কোচ হবেন কৃষ্ণেন্দু রায়। কিন্তু পরবর্তীকালে ক্লাব কর্তারা ঠিক করেন একজন নামী কোচকে দরকার। সেই জন্যই কিবুকে প্রস্তাব দেন তাঁরা। সদ্য জন্মানো একটি ক্লাবের দায়িত্ব নিতে শুরুতে একটু দ্বিধায় ছিলেন কিবু। কিন্তু ক্লাব কর্তারা তাঁকে বোঝান ক্লাবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। প্রথম ডিভিশনের ক্লাব হলেও তাঁরা যে ডায়মন্ডহারবার এফ সি-কে ঘিরে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করছেন সে কথা বুঝিয়ে বলেন। পাশাপাশি এও জানান, প্রথম ডিভিশনের জন্য সেরা দল গড়বেন তাঁরা। এর পরেই ডায়মন্ডহারবার ক্লাবের চুক্তিপত্রে সই করে দেন কিবু।
তবে চুক্তিপত্রে সই করলেও কিবু ডায়মন্ডহারবারের কোচ না টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হচ্ছেন তা অবশ্য ঠিক হয়নি। যদি তিনি কোচ হন তাহলে সহকারি কোচ হবেন কৃষ্ণেন্দু। আর তিনি যদি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হন তাহলে কোচ হবেন কৃষ্ণেন্দু। ক্লাবের সভাপতি হলেন গৌরাঙ্গ বন্দ্যোপাধ্যায়, সচিব হলেন মানস ভট্টাচার্য। আই এফ এ-র অনুমোদন পাওয়ার পর থেকেই ডায়মন্ডহারবার তাদের দল গঠনে মন দিয়েছে। এবং ইতিমধ্যেই তারা বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে সই-ও করিয়ে ফেলেছে। গত মরসুমে কলকাতা লিগে প্রিমিয়ার ডিভিশনে ভাল খেলা ফুটবলারদের দলে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন কর্তারা। এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে বি এস এস-এর প্রসেনজিৎ পাল, সুখেন মুর্মুকে সই করানো হয়েছে। সই করানো হয়েছে গত মরসুমে দারুণ খেলা ভবানীপুরের স্টপার সন্দীপ পাত্রকেও। সন্তোষ ট্রফিতে সদ্য রানার্স হওয়া বাংলা দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে দলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাবের। এদের মধ্যে সবার আগে রয়েছেন বাংলা দলের গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং। দু পক্ষের যা কথা হয়েছে তাতে দু এক দিনের মধ্যে ডায়মন্ডহারবারে সই করবেন প্রিয়ন্ত। তবে প্রথম ডিভিশন ক্লাবে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম নেই। তাই কিবুকে ভারতীয় ফুটবলার নিয়েই চলতে হবে। কিন্তু যে রকম ভাবে জন্মানোর পনেরো দিনের মধ্যে ডায়মন্ডহারবার ফুটবল ক্লাব চমক দিতে শুরু করেছে তাতে শেষ পর্যন্ত তারা কোথায় থামবে তা সময়ই বলবে।