কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: গত তিন মাসে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে, এমনটাই দাবি অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট তথা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের। সোমবার এক বিশেষ বিবৃতিতে বিক্রমসিঙ্ঘে জানান, ১৩ মে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন, তখন দিনে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হত। গত দুমাস ধরে দিনে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, একন কৃষকরা নিয়মিত সার পাচ্ছেন, দেশে রান্নার গ্যাসের সংকটও অনেকটাই কেটেছে। তিনি আরও বলেন, আগে বলা হয়েছিল, জুলাই মাসে জ্বালানি সংকট তীব্র হবে। কিন্তু এখন প্রচুর পরিমাণ ডিজেল মজুত রয়েছে। ২১ জুলাই থেকে পেট্রলও সরবরাহ করা হবে।
অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট জানান, দেশের যে নাগরিকরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন, তাঁদের রিলিফ দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত কৃষক দুই একরের কম জমিতে ধান চাষ করেছেন ঋণ নিয়ে, তাও মুকুব করে দেওয়া হবে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় দেশে জ্বালানির দামও কমানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা প্রায় শেষের পথে। অন্য দেশগুলির সঙ্গেও আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে কথা চলছে।
আরও পড়ুন:Coal Scam: কয়লা কাণ্ডে ধৃতদের ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত
বিক্রমসিঙ্ঘের অভিযোগ, সমাজে এমন কিছু জীব আছে, যারা দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। দেশের সামগ্রিক উন্নতির জন্যই এই জীবদের সতর্ক করতে হবে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সকলেরই আছে। তাদের দাবিগুলিও সঙ্গত এবং যুক্তিপূর্ণ। সেই সব দাবি পূরণ করার প্রচেষ্টা জারি থাকবে।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি তাঁর আবেদন, মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রেখে তারা যেন দেশের কথা ভাবেন। একজন, দুজনের উপর রাগ যেন দেশের সকলকে ভোগান্তিতে না ফেলে, তা দেখতে হবে। সব দলকে এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বদল সরকার গঠনের পথে যেতে হবে। দেশকে আর্থিক সংকট থেকে উদ্ধার করতে হবে।
আরও পড়ুন:Eknath Shinde: গুয়াহাটি গেলে আমিও কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব? ছোট্ট মেয়ের প্রশ্নে বিড়ম্বনায় শিন্ডে
রনিল অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হলেও দেশের মানুষ তাঁকে মেনে নিতে পারছেন না। কলম্বো শহরের পথে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁর ছবি লাগানো হোর্ডিংও ছিঁড়ে ফেলেছে বহু জায়গায়। জনতা তাঁরও ইস্তফা দাবি করেছে। আগেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত বাড়ি। আচমকা কেন তিনি সোমবার এই বিবৃতি জারি করলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারছে না রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবারই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রনিল ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা, শাসকদল এসএলপিপি থেকে বেরিয় আসা এক নেতা এবং কমিউনিস্ট নেত্রী দিসানায়েক। কেউ কেউ বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখেই রনিলের এই সাফাই।