গত ৯ মাসে রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভুয়ো ভোটার রুখতে এহেন পদক্ষেপ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। আগামী ৯ নভেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। তার ঠিক আগেই সর্বদল বৈঠকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির মতো রাজনৈতিক দলগুলি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের।
একইসঙ্গে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য নতুন ভোটারদের এক বছর অপেক্ষা করতে হবে না। ৩ মাস অন্তর বছরে ৪ বার নির্দিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে নতুন ভোটারের নাম। ১৭ বছর বয়স হলেই ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলার আবেদন করা যাবে। এর আগে প্রতি বছর ১ জানুয়ারির হিসেবে ১৮ বছর পূর্ণ হলে তবেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করা যেত।
কিন্তু চলতি বছরের ২৮ জুলাই নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এখন থেকে ১৭ বছর বয়স হলেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করা যাবে। এই কারণে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ৬ নম্বর ফর্মের পরিমার্জন করা হয়েছে। জানুয়ারি, এপ্রিল, জুলাই এবং অক্টোবর বছরে চারবার নতুন ভোটাররা নাম নথিভুক্তির আবেদন করতে পারবেন। তবে ১৮ বছর পূর্ণ হলে তবেই এই অগ্রিম আবেদনগুলির নিষ্পত্তি করা হবে। রাজ্যজুড়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর। পরবর্তী এক মাস অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংশোধনের কাজ চলবে।
এই সংশোধনের কাজ শুরুর আগে ২ নভেম্বর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে সর্বদল বৈঠক হল । ওই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন,ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ হবে প্রত্যেক ভোটারের নিজস্ব বুথে। প্রত্যেক সপ্তাহের শনি ও রবিবার বুথ স্তরের আধিকারিকেরা আবেদনপত্র জমা নেবেন। আগামী একমাস জুড়ে এই সংশোধন অভিযানের পর ২০২৩ এর ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে। nsvp.in, voterportal.eci.gov.in এই সাইটে লগ ইন করার পরে। এছাড়া ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ থেকেও নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন জানান যাবে।
