চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমতার চন্দ্রপুরে তৃণমূল (AITC) কার্যালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়।। গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই বোমা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএকে (NIA) যুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সেই নির্দেশের দুই মাস পরেও ওই ঘটনার চার্জশিট ও বিস্ফোরন সংক্রান্ত নথি পুলিশ এনআইকে পাঠায়নি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চার্জশিট (Charge sheet) ও বিস্ফোরণ সংক্রান্ত নথি এনআইএ কে পাঠাতে হবে সাতদিনের মধ্যে। মামলাকারীকেও কেন্দ্র ও এনআইকের কাছে সব নথি পাঠানোর নির্দেশ। প্রয়োজনে আরও যদি কোনও তথ্য নথি থাকে তাও পাঠাতে হবে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসের ওই ঘটনার পাঁচ দিন পরেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি এনআইকেও জানানো হয়নি। পরিস্থিতি দেখে বিচারপতির প্রশ্ন পুলিশের এত গাছাড়া মনোভাব কেন?
আমতার চন্দ্রপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন স্থানীয় বাসিন্দা মহরম আলি। ঘটনার পাঁচ দিন পরে, ২৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে (Medical College & Hospital) তাঁর মৃত্যু হয়। আমতা থানার চন্দ্রপুর এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় আহত মহরম আলির মৃত্যুর পর তাঁর বাবা সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয় কড়েয়া থানায়।
রাজ্যের প্রথম রিপোর্ট পাঠানোর কথা কেন্দ্রে। কিন্তু পাঠায়নি।সোমবার আদালত জানিয়েছে, আমতা থানার তদন্ত নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এনআইএ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Central Home Ministry) এটা দেখবে। একজন সেখান থেকে লুকিয়ে কলকাতায় চিকিৎসা করতে এসে গ্যাস ব্লাস্ট দুর্ঘটনা বলে চালায়। পরে বিষয়টা সামনে আসে। অবশ্য সিবিআই তদন্তের দাবির ব্যাপারে এই মুহূর্তে পদক্ষেপ করছে না আদালত।
সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অভিযোগ, ওই মৃত্যুর খবরই জানতেন না আমতা থানার (Amta Police Station) আইসি। ওই ঘটনার জেরে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt)। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হোক সিবিআই আর এন.আই.এ-কে। মামলায় এন.আই.এ কে যুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।