জাপান–২ স্পেন–১
(দোয়ান, তানাকা) (মোরাতা)
জার্মানি–৪ কোস্তা রিকা–২
(সার্জ নাব্রি, কাই হাভার্ৎজ-২, নিলোলাস ফুলক্রূগ) (তেজেদা, ভার্গাস)
মধ্য রাতে সূর্যোদয় হল কাতারে। জার্মানির পর স্পেনকেও হারিয়ে দিয়ে জাপান উঠৈ গেল বিশ্ব কাপের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে। এর ফলে স্পেন কোনও রকমে টিকে থাকলেও বিদায় নিতে হল চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। ২০১৪-র চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ২০১৮-র বিশ্ব কাপে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এবারও তাদের জন্য একই দুর্দশা লেখা হয়ে গেল। দুর্দান্ত খেলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোস্তা রিকাকে হারালেও গ্রুপে তৃতীয় হয়েই বিদায় নিতে হল টমাস মুলারদের। তবে জার্মানির বিদায়ের পাশাপাশি দুর্দান্তভাবে উঠৈ এল জাপান। নীল সামুরাইরা জার্মানিকে যখন হারিয়েছিল তখন মনে হয়েছি। অঘটন। কিন্তু যখন তারা বৃহস্পতিবার হারিয়ে দিল স্পেনকে তখন সেটা আর অঘটন থাকল না। হয়ে গেল এশিয়ার ফুটবলের এক রূপকথা। ২০০২ সালে জাপান নিজেদের দেশে বিশ্ব কাপ আয়োজন করে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উঠৈছিল। এবার উঠল অন্য দেশের মাটিতে। স্পেনের কাছে তারা মাত্র ১১ মিনিটে গোল খেয়ে যায়। গোল করেন আলভারো মোরাতা। কিন্তু বিরতির পর খেলা শুরু হতে না হতেই জাপান গোল শোধ করে দেয়। গোল করেন দোয়ান। তিন মিনিটের মধ্যে আবার গোল করেন তানাকা। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি স্পেন। তাই তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে জাপান উঠে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। তিন ম্যাচে স্পেন এবং জার্মানিরও চার পয়েন্ট। কিন্তু স্পেনের গোল পার্থক্য জার্মানির চেয়ে ভাল। তাই তারা চলে গেল শেষ ষোলয়। বিদায় নিতে হল জার্মানিকে। প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে জাপান খেলবে ক্রোয়াশিয়ার সঙ্গে। আর স্পেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে মরক্কো।
জার্মানির বিদায়ের ম্যাচটি এক অর্থে ঐতিহাসিক। এই ম্যাচেই ছেলেদের বিশ্ব কাপে প্রথমবার পরিচালনা করলেন মেয়ে রেফারি। ফ্রান্সের রেফারি স্তেফানি ফ্রাপা এদিনের ম্যাচ কেলালেন। সহকারি রেফারি এবং চতুর্থ রেফারিও ছিলেন মেয়ে। ম্যাচটি দেখবার জন্য ভি ভি আই পি বক্সে ছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট গিয়ানি ইনাফান্তিনো। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে দেন সার্জ নাব্রি। কিন্তু ৫৮ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন তেজেদা। এবং ৭০ মিনিটে কোস্তা রিকাকে এগিয়ে দেন ভার্গাস। কিন্তু টিপিক্যাল জার্মান ফাইট ব্যাকের নিদর্শন রেখে জার্মানরা দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে। ৭৩ এবং ৮৫ মিনিটে পর পর দুটি গোল করেন কাই হার্ভাৎজ। ৮৯ মিনিটে চার নম্বর গোলটি করেন নিকোলাস ফুলক্রূগ। কিন্তু জাপানের কাছে স্পেনের পরাজয়ে কোনও দাম পেল না জার্মানির এই দুরন্ত জয়।