কাতার: আরও বাড়ল ব্রাজিলের (Brazil) অপেক্ষা। সেই ২০০২ সালে রোনাল্ডোদের (Ronaldo Nazario) হাতে উঠেছিল বিশ্বকাপ। তারপর শুধুই খরা। পরপর কাপ নিয়ে গেছে ইউরোপের দেশগুলো— ইতালি, স্পেন, জার্মানি এবং ফ্রান্স। এবার নেইমারের (Neymar) নেতৃত্বে নতুন করে বিশ্বজয়ের স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিল ব্রাজিল আর তাদের কোটি কোটি সমর্থকরা। ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) হাতে সেই স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটল কোয়ার্টার ফাইনালেই (Quarter Final)।
এক্সট্রা টাইমের প্রথমার্ধে নেইমারের অনবদ্য গোলেও শেষরক্ষা হয়নি। ১১৭ মিনিটে শোধ হয়ে যায় ব্রুনো পেটকোভিচের (Bruno Petkovic) গোলে। শট অন টার্গেট অর্থাৎ গোলমুখী শট ব্রাজিল নিয়েছিল ১১টা। সেখানে ক্রোয়েশিয়া মাত্র ১টা আর সেটাই গোল। টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের রদ্রিগো এবং মারকুইনহোস। চারটে শটের চারটেই জালে জড়ায় ক্রোয়েশিয়া।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: মেসির অনবদ্য থ্রু বল, টাইব্রেকারে ডাচ বধ আর্জেন্টিনার
এ তো গেল শুকনো পরিসংখ্যান। ব্রাজিল আসলে হারল ঠিক কী কারণে?
এমন যদি ভেবে থাকেন ব্রাজিলই (Brazil) খেলেছে, সারাক্ষণ ডিফেন্স করে গেছে ক্রোয়েশিয়া (Croatia) তাহলে খুবই ভুল ভাববেন। বলের দখলেও ইউরোপের দেশই সামান্য এগিয়ে, (৫১-৪৯)। আক্রমণভাগ ব্রাজিলের ভাল হলেও মাঝমাঠ ছিল ক্রোয়েশিয়ার দখলে। লুকা মড্রিচ (Luka Modric), মাতেও কোভাচিচ এবং মার্সেলো ব্রোজোভিচ পুরো খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করে গেলেন। ব্রাজিলের লুকাস পাকেতা আর নেইমারের সংযোগটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাটকো দালিচ।
উল্টো দিকে বড় ভুল করলেন ব্রাজিলের কোচ তিতে (Tite)। তিনি সিস্টেমে বদল না এনে প্লেয়ার বদল করলেন। এখানেই আসলে মাত খেল তাঁর দল। বড় ম্যাচে প্ল্যান বি না থাকার খেসারত দিতে হল ব্রাজিলকে। ফুটবলে মাঝমাঠ যার দখলে থাকে ম্যাচ জেতে তারাই। তবে একটা ভাল চাল দিয়েছিলেন তিতে। রাফিনহাকে তুলে অ্যান্টনিকে নামানোয় আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে ব্রাজিলের। গোলটা তারই ফসল। কিন্তু তাতে শেষরক্ষা হয়নি। হেক্সা মিশনের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে সেলেকাওদের।