প্রয়াত হলেন ইতালীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিদা (Italian famous Actress Gina Lollobrigida dies)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ১৯৫০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এই অভিনেত্রী। তাঁর সৌন্দর্য এবং অভিনয় ক্ষমতা পৃথিবীর সমস্ত চলচ্চিত্র প্রেমীদের নজর কেড়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পাঁচের দশকে ইতালির পুনর্জন্মের প্রতিনিধিত্ব করতেন তিনিই।
তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৬০-এর শুরু পর্যন্ত অন্যতম সেরা ইউরোপীয় অভিনেত্রী ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক যৌন আবেদনের প্রতীক হয়ে ওঠেন।সূত্রের খবর গত সেপ্টেম্বর মাসে ভেঙে যাওয়া উরুর হারের অস্ত্র প্রচার করিয়েছিলেন জিনা। অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফিরে তিনি জানিয়েছিলেন যে তিনি দ্রুত হাঁটতে পারছেন।
আরও পড়ুন: Pathan Release: পাঠান জ্বরে কাবু মুম্বই, প্রথম শো নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা মুম্বইয়ের নামকরা এই থিয়েটারে
১৯৫৫ সালে ‘দ্যা ওয়ার্ল্ড মোস্ট বিউটিফুল ওমেন’ (The World Most Beautiful Woman in the World) ছাড়াও আরও একাধিক ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন এই সুন্দরী অভিনেত্রী। তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই ইতালির মানুষ তাঁকে ভালোবেসে ‘লোলো’ বলেই ডাকত। রক হাডসনের (Rock Hudson) সঙ্গে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ (Golden Globe) বিজয়ী ‘কাম সেপ্টেম্বর’ (Come September) আজও চলচ্চিত্র প্রেমীরা ভুলতে পারেননি। এছাড়া মিসেস ক্যাম্বেল ছবির জন্য জিনা লোলোব্রিজিদা শীর্ষ চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। যুদ্ধের পর ইতালি ভিত্তোরিও ডি সিকা (Vittorio De Sica) সহ সমস্ত নামজাদা পরিচালকের সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, রোমের একটি দরিদ্র পাহাড়ি এলাকায় একটি শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিনা লোলোব্রিগিদা। অভিনেত্রী হওয়ার আগে ভাস্কর্য নিয়ে পড়াশোনা করতেন । ১৯৪৭ সালে মিস ইতালীয় সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করার পর চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন। চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার পর লোলোব্রিগিদা একজন ফটোগ্রাফার এবং ভাস্কর্য নিয়ে নিজের নতুন কেরিয়ার গড়ে তোলেন এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং এর খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর শুভেচ্ছা দূতও ছিলেন তিনি।১৯৭০-এর দশকে তিনি ফিদেল কাস্ত্রোর (Fidel Castro) সাক্ষাৎকার গ্রহণের সুযোগ পান। তিনি ইতালীয় ও ইতালীয়-মার্কিন বিভিন্ন সমস্যায় সক্রিয় কর্মী হিসেবে, বিশেষ করে ন্যাশনাল ইতালিয়ান আমেরিকান ফাউন্ডেশনের হয়ে, কাজ করেন। ১৯৭২-১৯৯৪ সালের মধ্যে তিনি ইতালিয়া মিয়া (মাই ইতালি),দ্য ফিলিপাইনস এবং দ্য ওয়ান্ডার অফ ইনোসেন্স, শিশুদের এবং শিশুদের জন্য ছবি সহ তার ছবির ছয়টি বই প্রকাশ করেছিলেন।