কলকাতা: ময়দানের (Maidan) এক সময়ের গ্ল্যামার বয় ও অতীতের দিকপাল ফুটবলার পরিমল দে (Parimal Dey) প্রয়াত। মঙ্গলবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ওই প্রবীণ ফুটবলার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতা ময়দানে তিনি জংলা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর নাম উচ্চারিত হলে স্মৃতির ক্যানভাসে ফুটে ওঠে ১৯৭০ সালের আইএফএ শিল্ড (IFA Shield) ফাইনাল। সেই ম্যাচে ইরানের পাস ক্লাবকে হারায় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
১৯৬৪ সালে উয়াড়ি থেকে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলেন ওই প্রবীণ ফুটবলার পরিমল দে। টানা ৬ বছর লাল-হলুদে খেলেছেন তিনি। খেলতেন ফরোয়ার্ড পজিশনে। ১৯৬৮ সালে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হন তিনি। ময়দানে জংলাদা নামেই খ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে জীবনকৃতি সম্মান দেয় লাল-হলুদ।
আরও পড়ুন:Didir Doot: পরিযায়ী পরিবারে অশান্তির কারণ দিদির দূতেরা, জলঙ্গীতে মহিলা বিক্ষোভ
স্বাধীনতার পর সেই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব বিদেশি ক্লাবকে পরাজিত করে শিল্ড জেতে। ইস্টবেঙ্গলের সেই গৌরবময় ইতিহাসের নায়ক ছিলেন ফুটবলার পরিমল দে। সেই ম্যাচে শুরু থেকে খেলেননি পরিমল দে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই জয়সূচক গোল করেন। সমর্থকদের কাঁধে চেপে মাঠ ছেড়েছিলেন। ফাইনালে তাঁর অনবদ্য গোল ময়দানের ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে আজও অক্ষত। ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন তিনি। পরিমল দে-র কত স্মৃতি ছড়িয়ে আছে সবুজ ঘাসে, তার ইয়ত্তা নেই। আজ শুধু স্মৃতি রোমন্থনের দিন। তাঁর প্রয়াণ বাংলার ফুটবলের এক অপূরণীয় ক্ষতি।
 এক সময়ের গ্ল্যামার বয় ও অতীতের দিকপাল ফুটবলার পরিমল দে (Parimal Dey) প্রয়াত। মঙ্গলবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ওই প্রবীণ ফুটবলার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতা ময়দানে তিনি জংলা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন।){kind=link}