কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই কংগ্রেস (Congress) মামলা করবে বলে জানিয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (PCC President) অধীর চৌধুরী (Adhir Choudhuri)। তাঁর দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Poll) হতে পারে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) অধীনে পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে তাঁরা আদালতে যাবেন বলে জানান অধীর। মঙ্গলবার তিনি বলেন, এর আগে পুর নির্বাচন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হবে কি না, তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। তার আগে সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (By Election) কংগ্রেস-বাম (Congress-Left) সমঝোতা হয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে সেখানে বামেরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। পৃথক প্রার্থী দেয়নি। বাম এবং কংগ্রেস, দুই পক্ষই দাবি করেছে, বামেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন: Sukanta Majumder: এ রাজ্যে ৩৫৬ ধারার প্রয়োজন পড়বে না, মানুষই তৃণমূলকে তাড়াবে, দাবি সুকান্তের
সেই প্রসঙ্গে অধীর এদিন বলেন, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা কংগ্রেস লুকিয়ে করেনি। সাগরদিঘির লড়াই বাম-কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। তাঁর দাবি, নীচের তলায় কে কখন এক হবে, কেউ জানে না। এখন তো তৃণমূল (TMC) কর্মীরা বলছে, তারা তৃণমূলকে ভোট দেবে না। তৃণমূলের রাম-বামের পাল্টা রাম-বাম-তৃণমূলের একাংশ এক হয়েছে। তিনি জানান, কংগ্রেস, বাম, বিজেপি এবং তৃণমূলের ভগ্নাংশ নিয়ে রাজ্যে নতুন ভোটের সমীকরণ হচ্ছে। জোট অনুঘটকের কাজ করছে। নীচের তলায় বাম-কংগ্রেস জোট কেউ ঠেকাতে পারবে না। কংগ্রেস নেতা আরও দাবি করেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থীকে বামেরা তো ভোট দিয়েইছে, এমনকী তৃণমূল, বিজেপিরও বহু ভোট পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
এই ভোটের আগেই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘিতে প্রচারে গিয়ে দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে আঁতাঁত হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থী জিতলেই বিজেপিতে চলে যাবেন। সোমবার ভোটের দিন একটি বুথের সামনে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা এবং কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস হাত মেলানোয় তৃণমূল দাবি করে, দুই দল এক হয়ে গিয়েছে। এই দাবির পর অধীর সে সব উড়িয়ে দিয়ে বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূলের অনেক ভোট কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন।