মুম্বই: আরও একবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final 2023) হেরেছে ভারত। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের পর এবার অস্ট্রেলিয়ার হাতে ধরাশায়ী হয়েছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই প্রতিপক্ষের হাতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। আর তা দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। রীতিমতো কড়া ভাষায় সমালোচনা করছেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India)। কিংবদন্তি ভারতীয় ওপেনার সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) তো ব্যাটারদের তুলোধনা করছেন। তিনি বলেছেন, কোহলি-রোহিতরা দেশের মাঠে ‘দাদা’ আর বিদেশে গেলেই গুটিয়ে যায়।
৪৪৪ রান তাড়া করতে গিয়ে চতুর্থ দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে শেষ করেছিল ভারত। পঞ্চম দিনে ৯৭ ওভারে দরকার ছিল আর ২৮০ রান। ক্রিজে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং অজিঙ্ক্য রাহানে (Ajinkya Rahane)। আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকরা। ১৬৪/৩ থেকে মাত্র ২৩৪ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। অর্থাৎ সাত উইকেট পড়ে মাত্র ৭০ রানে। এই হতশ্রী পারফর্ম্যান্স দেখেই গর্জে উঠেছেন সানি।
আরও পড়ুন: India | Test Squad | পরের দু’ বছরে টেস্ট দলের দরজা খুলতে পারে কাদের জন্য, দেখে নিন
তিনি বলেন, ভারত যতবার বিদেশে গিয়েছে ততবার আমাদের ব্যাটিং সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা কেন ঘটছে? এই ব্যাপারটার দিকে নজর দেওয়া দরকার। আমাদের ব্যাটিং ঘরের মাঠে এত ভালো খেলে, দেশের মাটিতে ওরা ‘দাদা’। কিন্তু বিদেশে গেলেই কেউ কেউ ঝোলায়, সবাই নয় তবে কেউ কেউ ঝুলিয়ে দেয়।
গাভাসকর ভুল কিছু বলেননি। পরিসংখ্যান দেখলেই তা প্রমাণ হবে। ২০২১ সালের শুরু থেকে বিদেশের মাটিতে ভারতের এক নম্বর ব্যাটার ১১ টেস্টে করেছেন মাত্র ৫৭৫ রান, গড় ২৮.৭৫ এবং সর্বোচ্চ ৭৯। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বিদেশে আটটি টেস্ট খেলেছেন এবং ৪১.২৬ গড়ে ৬১৯ রান করেছেন। ১৪ টেস্টে ৯২৪ করেছেন চেতেশ্বর পুজারা (Cheteshwar Pujara)। রানসংখ্যা বেশি হলেও তাঁর গড় মাত্র ৩৫.৫৩। অজিঙ্ক্য রাহানের অবস্থা সবথেকে খারাও, ১১টি টেস্টে ২৫.২৮ গড়ে ৫৩১ রান করেছিলেন তিনি। অবশ্য রাহানেকে বাদ দিয়েছিল বিসিসিআই, শ্রেয়স আইয়ারের চোটের জন্য তিনি দলে ফেরেন এবং ফাইনালের প্রথম ইনিংসে তিনিই সবথেকে বেশি রান (৮৯) করেন।
এই জঘন্য পারফর্ম্যান্সের কারণেই দলে বদল চাইছেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। তিনি বলছেন, ভারতের উচিত অস্ট্রেলিয়াকে দেখে শেখা। অজি দলে স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের মতো সিনিয়রদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে মার্নাস লাবুশেন এবং ট্র্যাভিস হেডের মতো তরুণদের। এই কম্বিনেশনেই আসছে সাফল্য। শাস্ত্রীয় মত, এই পথেই চলা উচিত নির্বাচকদের। এর জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, হয়তো সবার পছন্দ হবে না কিন্তু এতেই আসবে সাফল্য।