কলকাতা: এবার বিশেষ সমাবর্তন হচ্ছে না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। বিশেষ সমাবর্তন মানে, যেখানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের ডি.লিট (ডক্টরেট অফ লিটারেচার) ও ডিএসসি (ডক্টরেট অফ সাইন্স) সম্মান প্রদান করা হয়।
সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন সংক্রান্ত ইসি বৈঠকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সমাবর্তনের জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের অনুমতির প্রয়োজন। এর আগে রাজ্য সরকার ইসি বৈঠক এবং সমাবর্তনের অনুমতি দিয়েছিল। এদিন উপাচার্য বৈঠকের পর জানান, ইসির সিদ্ধান্ত রাজ্যপালকে জানানো হবে। তাঁর অনুমতি মিললে সমাবর্তনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খেজুরিতে অস্ত্র আমদানির অভিযোগে তৃণমূলের গাড়ি ভাঙচুর, মারধর
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের দাবি, তাদের অনুমতি ছাড়া অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা সেনেট, সিন্ডিকেট, কোর্ট বা কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারেন না। কিন্তু সম্প্রতি রাজভবন অস্থায়ী উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আইন অনুযায়ী তারা ওই ধরনের বৈঠক ডাকতে পারেন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর অনুমতি দেয়নি বলে বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা সেনেট, সিন্ডিকেট, কোর্ট বা কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারেননি। তবে রাজভবনের অনুমোদন সাপেক্ষে উচ্চশিক্ষা দফতর অনুমতি না দিলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় গত সপ্তাহে সিন্ডিকেটের বৈঠক করেছে। তা নিয়ে কলকাতার অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্তের উপর যথেষ্টই ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষা দফতরের কর্তারা। এই টানাপড়েনেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আটকে গিয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর:
