পশ্চিম মেদিনীপুর: দলীয় কার্যালয়ে পতাকা খুলে, দেওয়ালে চুন দিয়ে সেখানে তালা ঝোলালো তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একটি গোষ্ঠী। ফের প্রকাশ্যে চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Conflict)। এবার কোন্দলের আঁচ পুর এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার (Chandrakona Municipality) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোনা এলাকায় থাকা ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়টি থেকে শুক্রবার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা খুলে নিলেন দলীয় পতাকা। এমনকী দেওয়ালে তৃণমূল প্রতীক সহ কার্যালয়ের নাম লেখা ছিল তাও তাঁরা চুন দিয়ে মুছে দিলেন। এই কার্যালয় কয়েকদিন আগে পর্যন্ত আনাগোনা ছিল বিধায়ক থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের। এমনকি সদ্য তৃণমুল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসেও এই কার্যালয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের নিয়ে দলীয় পতাকা তুলে গিয়েছিলেন চন্দ্রকোনা বিধানসভার বিধায়ক অরুপ ধাড়া।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা? ওয়ার্ডের তৃণমুলের একাংশের দাবি ,এই দলীয় কার্যালয়ে আসেন না ওয়ার্ড সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনীতা খাঁড়া। চন্দ্রকোনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সাঁতরার দিকে ওয়ার্ডে আলাদা ভাবে সংগঠনের কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ওয়ার্ডের এক তৃণমূল নেতা তথা চন্দ্রকোনা-২ ব্লক এসসি সেলের সভাপতি বুদ্ধদেব দাস। শহর তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ওয়ার্ড সভাপতি ও কাউন্সিলরদের নিয়ে ওয়ার্ডে অন্যত্র আলাদা ভাবে দলের কাজকর্ম করার অভিযোগ উঠেছে। ওয়ার্ডে দলের মধ্যে বিভাজনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বুদ্ধদেব দাস। তাঁর আরও অভিযোগ, ওয়ার্ডের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। দলের পদাধিকার সকলেই জানেন কিন্তু মীমাংসার জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় পড়ে গিয়েছে শোরগোল। ঘটনায় পাল্টা ওয়ার্ড কাউন্সিলর থেকে শুরু করে ওয়ার্ড সভাপতির দাবি,কয়েকজন তৃণমূল কর্মী নিজেদের ইচ্ছে মতো কাজ করছেন,প্রবীণদের সম্মান দিচ্ছেন না, তাই আমরা ওখানে যায়নি। কয়েকজন কর্মী দুর্নীতিগ্রস্ত। যদিও ওয়ার্ড সভাপতি ও কাউন্সিলরের দাবি,ওই দলীয় কার্যালয়টি ব্যক্তিগত মালিকানায় রয়েছে,দলের স্থায়ী কার্যালয় নয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে প্রথম, জেগে থাকা অবস্থায় ৫ বছরের শিশুর মাথায় অস্ত্রোপচার
তবে পুর ভোটের সময় টিকিট বন্টনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর উৎপত্তি হয়। প্রার্থী নিয়ে নাপসন্দ ছিলেন ওয়ার্ডের দুই গোষ্ঠী। আর ভোটের পর ওই দলীয় কার্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন কাউন্সিলর থেকে ওয়ার্ড সভাপতি এমনই দাবি তাঁদের। এই বিষয়ে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ সাঁতরা বলেন,পার্টি অফিসের জায়গাটি ব্যক্তিগত মালিকানার। এই জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। ওয়ার্ডের সবাই তৃণমুল কর্মী, সবাই একসঙ্গেই দলের কাজ করি।আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
আরও খবর দেখুন