নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যবিমায় (Health insurance) কি জিএসটি (GST) কমিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দেবে কেন্দ্র সরকার! আপাতত সেই দিকেই তাকিয়ে আছে দেশবাসী। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, জিএসটি হ্রাস করা নিয়ে পরিকল্পনা চালাচ্ছেন তারা। খুব শীঘ্রই সে সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (IRDAI) স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি হ্রাস করার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছে। এপ্রিল মাসেই গ্রুপ অফ মিনিস্টার্সে (Ministers to Meet) বৈঠক হওয়ার কথা। জানা গেছে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে কাউন্সিল মে মাসে তার পরবর্তী বৈঠকে প্রস্তাবগুলি বিবেচনা করতে পারে। সেইসমস্ত প্রস্তাব জিএসটি কাউন্সিলে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মার্চের শেষে বৈঠক মোদি ও ভাগবতের
এর পর জিএসটি কাউন্সিল (GST Council) তার পরবর্তী বৈঠকে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার উপর জিএসটিতে ছাড় দেওয়া সম্ভব কিনা সেটি বিবেচনা করে দেখবে। এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে মন্ত্রীদের ১৩ সদস্যের দল এপ্রিলে বৈঠকে বসার কথা। মেয়াদী বিমার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার বিষয়ে রাজ্যগুলি একমত ছিল। তবে এ বিষয়ে IRDAI কোনও মন্তব্য না করায় এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এই ১৩ সদস্যের মন্ত্রীদের দলে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ কুমার খান্না, পশ্চিমবঙ্গের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (State for Finance Chandrima Bhattacharya) এবং কেরলের অর্থমন্ত্রী কেএন বালগোপাল, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মতো বিশিষ্ট জনেরা ৷
তবে স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি কমানো বা অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আলোচনা এবং প্রস্তাবনা থাকলেও, ২০ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত, ৫ লক্ষ টাকার বেশি কভারেজ সহ পলিসির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিমা প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল রয়েছে।
জিএসটি কাউন্সিল পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। জিএসটি কাউন্সিল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং জীবন ও স্বাস্থ্য বীমার উপর জিএসটি হার পর্যালোচনা করার জন্য একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী (জিওএম) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীগোষ্ঠী প্রবীণ নাগরিকদের জন্য মেয়াদী জীবন বিমা পলিসি এবং স্বাস্থ্য বিমা পলিসির প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
দেখুন অন্য খবর: