কলকাতা: দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ (Cyclone Montha) দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে এটি ‘তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে’ (Severe Cyclonic Storm) পরিণত হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী উপকূল এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে (Weather Forecast)। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে (Weather Update)।
সমুদ্রে মৎস্য শিকারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের না যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যেই সবাইকে বাংলার উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ। ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলির জন্যও সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে প্রাক্তন প্রেমিকের গুলি, হুলস্থুল কাণ্ড
দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে।
উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির (২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত) আশঙ্কা। সেই দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও উত্তর দিনাজপুরেও। ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে। ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইবে।
কলকাতাতেও বৃষ্টি
কলকাতায় মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার শহরে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। এ সময় বইতে পারে দমকা হাওয়া।
দেখুন আরও খবর:







