ওয়েব ডেস্ক : আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রামে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! সেই কারণে এবার দলীয় অফিসকে গোবর লেপে শুদ্ধি করণ করা হল পার্টি অফিস। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠে গিয়ছে, হঠাৎ এমন কী হয়ে গেল যে গোবর লেপে দলীয় কার্যালয়কে শুদ্ধিকরণ করতে হল?
সাল ২০১৯। সেই সময় লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। সেই সময় কুমারগ্রামে ব্লক সভাপতি হয়েছিলেন ধীরেশ চন্দ্র রায়। কিন্তু বর্তমানে বদল করা হয়েছে বর্তমান ব্লক সভাপতিকে। তার জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন সুদয় নার্জিনারি। তার পরেই দলীয় দফতরকে গোবর লেপে শুদ্ধিকরণ করতে দেখা গেল।
জানা গিয়েছে, কুমারগ্রামে ব্লকসভাপতি বদলের পরেই ধীরেশ কার্যালয় থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবস্থা করা সব আসবাব-সহ বাকি সামগ্রী ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তার পরেই দলীয় কার্যালয়কে দল দিয়ে ধুয়ে, তার পর গোবর লেপে, ধূপ-ধুনো দিয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ করেন নতুন সভাপতি সুদয় নার্জিনারির ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীরা। আর এই ঘটনায় শাসক দলের অন্দরেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবর : ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা! বাংলায় কী প্রভাব পড়বে?
জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে ব্লক সভাপতির (Block president) দায়িত্ব পাওয়ার পরেই দলীয় অফিসে আসবাবপত্র, টেবল-চেয়ার, প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী থেকে ইন্টারনেট ব্রড-ব্যান্ড লাইন-সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছিলেন ধীরেশ চন্দ্র রায়। কিন্তু গত ২৬ অগাস্ট ধীরেশকে সরিয়ে নতুন ব্লক সভাপতি করা হয় সুদয়কে। তার পরেই প্রাক্তন ও বর্তমান গোষ্ঠীর মধ্যেই কোন্দল লেগেই রয়েছে বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় দলীয় অফিসের আসবাব পত্র নিয়ে গেলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। তার পরেই নতুন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা শুদ্ধিকরণ করে পার্টি অফিসের।
এ নিয়ে কুমারগ্রামের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মনোজ ওঁরাও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছে, মানুষ এসব দেখে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। তার পর সাধারণ মানুষ এই জায়গাগুলিকে গঙ্গাজল, গোবর জল দিয়ে পরিষ্কার করবে।
দেখুন অন্য খবর :







