skip to content
Sunday, July 7, 2024

skip to content
HomeCurrent Newsকেন্দ্রের বিএসএফ নীতিতে সীমান্তের কাঁটাতারেই বিদ্ধ হল বঙ্গ বিজেপি

কেন্দ্রের বিএসএফ নীতিতে সীমান্তের কাঁটাতারেই বিদ্ধ হল বঙ্গ বিজেপি

Follow Us :

কলকাতা: চার উপ-নির্বাচনে জয়-জয়কার তৃণমূলের ৷ দিনহাটা-গোসাবায়ে লাখের বেশি ভোটে জয় ৷ খড়দহ তৃণমূলেরই ৷ বিজেপির দখলে থাকা শান্তিপুরও ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী ব্রজকিশোর গোস্বামী ৷

 দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা এবং খড়দহ—এই বিধানসভা আসনগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ পর্যন্ত রাজ্যের চারটি ভিন্ন জেলায় । তবে, একটি সাধারণ বিষয় তাদের সবাইকে একই পংক্তিতে নিয়ে এসেছিল । সেটি হল সীমান্ত ইস্যু । কোচবিহার, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাগুলির যেখানে এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি অবস্থিত, তাদের প্রতিটির সীমানাই প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে ৷ আর সে দিক থেকে বিচার করলে এই চার কেন্দ্রের ফলের উপর সম্প্রতি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এক সিদ্ধান্ত অনেকটাই কাজ করেছে, সন্দেহ নেই ৷  কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে রাজ্যের ভিতরে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় কাজ করতে পারবে বিএসএফ ।

এই চারটির মধ্যে, কোচবিহারের দিনহাটায় এপ্রিল-মে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বেশ কিছুটা লড়াই করেছিল ৷ সে বার বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে মাত্র ৫৭ ভোটে হারাতে পেরেছিলেন । যে নিশীথ ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে ১৫,৫৩৯ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন । ৩৫ বছর বয়সের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কাজ করতে চাওয়ায়  ফের এখানে উপ-নির্বাচন ৷ আর ছয় মাসের মধ্যেই ছবিটা পুরোপুরো পাল্টে গেল ৷ বিজেপি যাকে প্রার্থী করেছিল সে অশোক মণ্ডলের জামানত জব্দ হয়ে গেল ৷

বেশ কিছু দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে আসছেন ৷ তাঁর অন্যতম, কেন্দ্র রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে, আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে ৷ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, হিন্দু জনসংখ্যার একটা বিপুল অংশ এই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ৷ যাঁরা নানা রকম সমস্যার মুখোমুখি ৷ দিনহাটার পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল গত কয়েক বছরে ৷

 অন্যদিকে, দক্ষিণে, নদিয়ার শান্তিপুর বরাবরই মতুয়া সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটি । শান্তিপুরের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই বছরের শুরুতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং জয়ী হয়েছিলেন । তিনিও নিশীথের মতো, উপ-নির্বাচনের অনুরোধ জানিয়ে সাংসদ পদটি ধরে রাখতে চেয়েছিলেন ৷ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল ৷ এই বছর বিধানসভা নির্বাচনে তা ৪৯ শতাংশে নেমে আসে ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী ভোট বাম এবং তৃণমূলের মধ্যে ভাগ হওয়ার কারণেই কিছুটা সুবিধা পেয়েছিল বিজেপি ৷ কিন্তু, আজ শান্তিপুরের ব্রজকিশোর গোস্বামীর বিপুল ভোটে জয় লাভ বুঝিয়ে দিল মতুয়া ভোট আর বিজেপির দিকে নেই ৷ পাশাপাশি, সিএএ এবং এনআরসি যে গেরুয়া ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরিয়েছে, তাও আজকের ফলে প্রমাণিত হয়ে গেল ।

 একটু দূরে দক্ষিণে সুন্দরবনের গোসাবা ৷ যেখানে তিন বারের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে উপ-নির্বাচন হল । এই জেলা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নদী সীমানা দ্বারা যুক্ত ৷ গোসাবা এমন একটি আসন যেখানে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজাররা চমক ধরানোর আশা রেখেছিলেন প্রথম থেকেই । জেলার ৩১ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে, এপ্রিল-মে-র নির্বাচনে ৩০টিতে জিতেছিল তৃণমূল ৷ একটি আসন ভাঙড় পেয়েছিল নবগঠিত ভারতীয় সেকুলার ফ্রন্ট ৷ ২৩ হাজারের বেশি ভোটে গত বার জিতেছিলেন জয়ন্ত নস্কর, আর আজ সেই ব্যবধান এক লাখের বেশি নিয়ে নিয়ে গেলেন সুব্রত মণ্ডল ৷

অবশেষে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ ৷ রাজ্যের বৃহত্তম জেলা ৷  বাংলাদেশের সঙ্গে সব চেয়ে বেশি লাগোয়া ৷ ২০১১ সালের রেকর্ড অনুসারে ৭৩.৪৬ শতাংশ হিন্দু জনগণ রয়েছেন এখানে ৷ প্রথম থেকেই আসনটা ছিল তৃণমূলের অনুকূলে ৷ আর ৯৩ হাজারের বেশি ভোটে জিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন খড়দহ তৃণমূলেরই ৷

চার কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জিতল তৃণমূল ৷ শান্তিপুর বাদে তিন কেন্দ্রে বিজেপির জামানত জব্দ হল ৷ বিরোধী মুখ বলতে বাংলায় আর কিছুই কার্যত থাকল না ৷ দিনহাটা এবং শান্তিপুর আগের বার নিজেদের দখলে রাখলেও এবার তাও হাতছাড়া হয়ে গেল ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি, পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, লকডাউনের জেরে হাজার হাজার মানুষের কর্মহীন হওয়া–এ সবের প্রভাব নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছিল সন্দেহ নেই ৷ উপরন্তু, উপ-নির্বাচনে ফল সাধারণ ভাবে সরকারের পক্ষেই থাকে ৷  কিন্তু, তার পরও এই বিপুল সাফল্যের পিছনে কোনও যাদু-রহস্য কি রয়েছে ?

উত্তর মিলতে হয়তে আরও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে ৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে পর্যালোচনা করবে ৷ কিন্তু, অতি সম্প্রতি বিএসএফ প্রসঙ্গে যে নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে, তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব এই নির্বাচনে দেখা গেল না তো ?

 সীমান্তের কাঁটা তারেই বিদ্ধ হতে হল না নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের নেতৃত্বাধীন বিজেপি ?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Yogi Adityanath | Bhole Baba | ভোলে বাবার আশ্রমে বুলডোজার চালাবে যোগী প্রশাসন?
00:00
Video thumbnail
Jagannath Rath Yatra 2024 | রথ বেরোতেই বিরল ঘটনা পুরীতে! কী হল দেখুন
00:00
Video thumbnail
Mayawati | লোকসভা নির্বাচনের পর মায়াবতীর প্রথম ভাষণ, কী বললেন শুনুন
00:00
Video thumbnail
Mukul Roy | ক্রমেই সুস্থ হচ্ছেন মুকুল রায়, কলকাতা টিভিকে জানালেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু
00:00
Video thumbnail
Yogi Adityanath | Rahul Gandhi | যোগীকে চিঠি রাহুলের, কী নিয়ে? দেখুন বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
পলিট্রিক্সের গ্রিনরুম (পর্ব ১২) | দিল্লির বাম নেতাদের ঐতিহাসিক ঔদ্ধত্য
00:00
Video thumbnail
Mamata Banerjee | Iscon | Rath Yatra | ইসকনের রথযাত্রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেখুন লাইভ ভিডিও
00:00
Video thumbnail
RathYatra | দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে রবিবাসরীয় রথ
04:45
Video thumbnail
Bengaluru | বাংলার ছাত্রীর করুণ অবস্থা বেঙ্গালুরুতে
05:05
Video thumbnail
Barasat | ৩৪ হাজারের মুক্তিপণ ৩ লাখ! অবাক করা ঘটনা দেখুন
02:39