ঘরে বাইরে দু’দিকেই যেন সমান লড়াই। পাহাড় প্রমাণ কাজের চাপে নিজেকে নিয়ে দু’দন্ড ভাববার অবকাশ নেই তাঁর। নারী দশভূজা ঠিকই তবে নিজেকে ছেড়ে বাদ বাকি সবার জন্য। শরীরের জন্য কোনটা খারাপ কোনটা ঠিক সব কিছু জেনেও নিজের খেয়াল রাখতে ভুলে যান অনেকেই। আপনিও যদি সেই দলে পড়েন তাহলে আপনার জন্য রইল নিত্য জীবনযাপনে এমন কিছু হেলথ টিপস তা মেনে চললে উপকার পাবেন আপনিও। যেমন-
ফ্যাট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন
ওজন কমাতে গিয়ে অধিকাংশ মহিলারাই ডায়েটিংয়ের পথ বেঁচে নেন। তবে চিকিত্সক বা ফিটনেস এক্সপার্টের সঙ্গে কথা না বলে এই পথে হাঁটবেন না। বরং ফ্যাট যুক্ত খাবারের থেকে দূরে থাকুন। এবং এর পাশাপাশি প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাতে শরীরে যায় সেরকম খাবার খান।
প্রচুর পরিমাণে জল খান
শরীরতো বটেই ত্বক ভালো রাখতেও জলের উপকারিতা অপরিসীম। বিশেষ করে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় শরীর যাতে ডিহাইড্রেট না হয় তার জন্য প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়ার প্রয়োজন।
ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলে চলবে না
যতই তাড়াহুড়ো থাকুক না কেন ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলে চলবে। সকালের প্রথম খাবার যাতে পুষ্টিতে ভরপুর হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। ভরপেট খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট নিয়মমাফিক করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে। নিজেকে সব সময় এনার্জেটিক মনে ভবে।
ওয়ার্কআউট মাস্ট
প্রত্যেকদিন অন্তত ৩০ মিনিট করে শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। শরীর ভাল থাকবে।
সময় মতো চেকআপ করাতে হবে
প্রত্যেক ৬মাস অন্তর অবশ্যই ফুল বডি চেকআপ করানো প্রয়োজন। এর ফলে কোনও মারণ ব্যাধি যদি শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে তা বোঝা যাবে। যে হারে চিকিত্সা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে সে ক্ষেত্রে সময় থাকতে চিকিত্সা হলে অনেক মারণ রোগের হাত কবল থেকেও বেঁচে ফিরে আসা যায়।
মানসিক চাপ দূরে রাখুন
চিন্তা অসুস্থতা বাড়ায়। তাই যথাসম্ভব যে কোনও মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। আধুনিক যুগের ইঁদুর দৌড়ে মানসিক চাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখা বেশ কঠিন তবে চেষ্টা করলে সমাধান পাবেনই। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নিন। মন খারাপ হলে যে সব আপনার করতে ভাল লাগে সেগুলো করুন। গান শুনুন কিংবা পার্কে হাটুন। প্রকৃতির সঙ্গ সময় কাটালে মন ভাল হতে বাধ্য।
মদ্যপান ও ধুমপান
মদ্যপান ও ধুমপান দু’টোই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে ফুসফুস ও যকৃতের সমস্যা থাকতে পারে। সতর্ক থাকুন মদ্যপান ও ধুমপান যেন আপনার অভ্যেসে পরিণত না হয়।