skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeWTCWTC Final Day 4 | শুভমানের বিতর্কিত আউটেও ব্যর্থতার দাগ শুকোচ্ছে না

WTC Final Day 4 | শুভমানের বিতর্কিত আউটেও ব্যর্থতার দাগ শুকোচ্ছে না

Follow Us :

কোনো দিনই জানা যাবে না কী হত যদি রোহিত শর্মা আর চেতেশ্বর পূজারা ভালো খেলতে খেলতে নিজেদের  উইকেট ছুঁড়ে  না দিতেন ? হাতে নয় উইকেট থাকলে বাকি থাকা ২৮০ রান কি  শেষদিন টিম ইন্ডিয়া সফলভাবে  তাড়া  করতে পারতনা  না ? এখন কাজটা অনেক কঠিন হয়ে গিয়ে কার্যত অসম্ভব দেখাচ্ছে। যদিও চেজ মাস্টার জেনারেল বিরাট কোহলি যতক্ষন আছেন ভেন্টিলেশনে থেকেও ভারত জীবিত থাকবে। 

ওভালে ফোর্থ ইনিংসে ২৬৩র বেশি তাড়া করে কেউ গত ১২১ বছরে জেতেনি বলছে রেকর্ড। কিন্তু সেই রেকর্ড রোহিতের ভারত ভাঙতে না পারুক কেউ না কেউ শিগগির  পেরিয়ে যাবে। ৪৪৪ রানের মতো কঠিন টার্গেট তাড়া করে ভারত যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল তাতে শুরু দিকে তো মনে হচ্ছিলো ওভাল ট্র্যাক আজকের গরমে শুকিয়ে কি উপমহাদেশীয় হয়ে গেল ? কোহলি অপরাজিত ৪৪। রাহানে ৩০। শেষদিনে ২৮০ রান এখন টেস্ট ক্রিকেটে দুর্ধষ্য কিছু নয়। কিন্তু ভারতের ব্যাটিং কোথায় ?এই জুড়ির  পরে ব্যাটসম্যান বলতে জাদেজা। 

আসলে চার পেস বোলার  খেলানোর ফাটকা চতুর্থ দিনেও লাগাতার বিদ্ধ করে গেলো ভারতকে। ঐতিহাসিক ভুল ? বোধহয়। 

এবার আসি দিনের সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়ে।

রিচার্ড কেটলবারা আইসিসি টুর্নামেন্টের নকআউটে ভারতের ম্যাচ খেলাতে আসা মানে অবধারিত ভারতীয় ফ্যানের  মুখ শুকিয়ে যাওয়া। ম্যানচেস্টারে ভারতের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগের দিন টিম প্র্যাকটিসে এক ফ্যানের কাছে প্রথম এমন আতঙ্কের ব্যাখ্যা শুনি। শুনি যে ২০১৪ থেকে ভারতের হেরে যাওয়া প্রতিটি আইসিসি নকআউটে তিনি হয় মাঠের আম্পায়ার বা তৃতীয় আম্পায়ার হিসেবে জড়িত থেকেছেন। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। তারপর চেক করে দেখি , আজগুবি নয়। বক্তব্যের সত্যতা রয়েছে।

পয়া  আম্পায়ার -অপয়া আম্পায়ার প্লেয়ারদের থাকে । শচীন একদম  চাইতেন না স্টিভ বাকনারকে। সৌরভের তীব্র অপছন্দ ছিল ধর্মসেনাকে। কিন্তু ফ্যানদের সমষ্টিগত অসূয়া ধারাবাহিকভাবে  একজন আম্পয়ারের ওপর বর্ষায় ,এমন নমুনা আর মনে করতে পারছি না। বছর পঞ্চাশের এই ইংরেজ আম্পায়ার আবার ভারতের সম্ভাব্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ  হারের সঙ্গেই শুধু যুক্ত থাকছেন না।  ওভালের  ফোর্থ ডে-তে এমন মহাবিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকলেন যা তিরিশ বছর পরেও আলোচিত হবে।

আরও পড়ুন: WTC Final 2023 | শুভমানের আউট ঘিরে তুমুল বিতর্ক! তবুও অসম্ভবকে সম্ভব করার আশায় ভারত 

পরের দিন সকালে কাগজ পড়ে পাঠক  বিতর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত  নেওয়ার চেষ্টা করবে। বুঝতে চাইবে ঠিক কী ঘটেছিলো ? সেই পুরোনো সোনার  দিন আর নেই। মোবাইল আর ভিডিওর রমরমা সময়ে প্রতিটি মিনিটের অনুপুঙ্খ হিসেব  প্রতিটি মিনিটের পরেই ঘটে যায়। টিভি তো আছেই। সেই রিপ্লে মিস করলেও নেটে পরে রিপ্লে দেখে নেওয়ার সুযোগ থাকে। তাই  ধরে নেওয়া যায় ,এদিন গিলের  আউট সম্পর্কে ওভাল যতটা উত্তেজিত ,এই ফেসবুক পেজের অনুসরণকারীরাও তাই। পরিচিতদের মধ্যে একমাত্র সঞ্জয় মঞ্জরেকরের মনে হচ্ছে ওটা আউট এবং গালিতে  ক্যামেরুন গ্রিনের  দুর্দান্ত ক্যাচ এভাবেই অভিহিত হওয়া উচিত।

আমার অবশ্য মনে হয়েছে ২০০৮ এর সিডনি চির-কুখ্যাত  মাঙ্কিগেট টেস্টে গালিতে সৌরভের ক্যাচ মাটিতে পড়ার পর সেটা দাবি করে মাইকেল ক্লার্ক  যেমন আম্পায়ারকে ভুল বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন ,গিলেরটাও  তাই। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ারের খণ্ডন করার সুযোগ  থেকেও না করার ব্যাখ্যা শুনলাম। টিভি ক্যামেরার ঠিক ওই মাইক্রো সেকেন্ডের ফ্রেমটা যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল না। প্রথম কথা ছবি পরিষ্কার যদি না থাকে ,বেনিফিট অফ ডাউট যাওয়া উচিত ব্যাটসম্যানের পক্ষে। দুই,গ্রিন যদি ক্যাচটা নিয়েও থাকেন ওঠার সময় দেখা যাচ্ছে বল ঘাসের ওপর। বৈধ ক্যাচ বলতে শুধু ঠিকঠাক ক্যাচ  নেওয়া বোঝায় না। পুরো আকশন বৈধ ভাবে  কমপ্লিট করা বোঝায়। সীমানার মধ্যে ক্যাচ ধরে কেউ যদি ওঠার সময় দড়িতে পা লাগিয়ে ফেলে সেটা যেমন বৈধ ক্যাচ থাকেনা এটাও ছিল তাই। 

তবে শুধু গিলের ক্যাচের জন্য ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের রানার আপ হয়ে যেতে চলেছে –এমন সংকীর্ণ ক্রিকেট ভাবনায় ঢোকা মানে হয়না।ভারত যে এই দশায় ,  তার নিজের বোলারদের প্রথমদিনের ব্যর্থতায়। প্রথম দিন ওই তিন উইকেটে ৩২৭ রানেই ট্রফিটা মেলবোর্নের জলিমন্ট স্ট্রিটগামী  হয়ে গিয়েছে। আর তারপর কুরিয়ারকে নতুন কোনো নির্দেশ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তবে হ্যাঁ যত ছিছিক্কারই হোক,ভারত কিন্তু লড়ছে। প্রথম দিন নক আউট  যাওয়ার পরেও বাকি তিনদিন  নীরব আত্মসমর্পণ করেনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular