Tuesday, June 10, 2025
HomeScrollAajke | বঙ্গ বিজেপি নেতারা আপাতত একে অন্যকে ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে ঘায়েল করতে...
Aajke

Aajke | বঙ্গ বিজেপি নেতারা আপাতত একে অন্যকে ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে ঘায়েল করতে ব্যস্ত

ওদিকে তৃণমূল দল গুটোচ্ছে তার শেষ প্রস্তুতির সুতো

Follow Us :

এমনিতে সব্বাই জানে যে পাড়াপড়শির থেকে জ্ঞাতিশত্রুদের লড়াই আরও তীব্র হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়, প্রাণঘাতী হয়। ঠিক তেমনিই রাজনৈতিক দলের ভেতরের লড়াইয়ের তীব্রতাও চরমে উঠলে তা বিরুদ্ধ রাজনৈতিক দলের লড়াইকেও হার মানায়। আপাতত এই বঙ্গে হাজারো রঙ্গের সঙ্গে বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল এক চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, আর তাকে সামলানো প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। দুটো কারণ এর পিছনে থাকতে পারে, ১) শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়ছে নীচে, কাজেই উপর থেকে হাতপাখার হাওয়া দিতে থাকলে তলার সারিতে সেই আগুন হু হু করে বাড়বে বই কমবে না। ২) সম্ভবত এর পিছনে তৃণমূলের হাতযশ আছে, অন্তত থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়, অতি বোকা বিজেপি নেতাও জানেন, আর যাই হোক ২৬-এ এ রাজ্যে পালাবদল সম্ভব নয়, কাজেই সে ঘি মাখন ক্ষীরের প্রসাদ পাওয়ার জন্য একটু আধটু কাজে লাগতেই পারেন, এতে করে দলের মধ্যে নিজের এক স্বাধীন জঙ্গি অস্তিত্বও গড়ে উঠবে আবার রাত ১১টায়, কুণালদা কেমন দিলাম, মেসেজ পাঠিয়ে নিজের আগামী দিনগুলোকে খানিক সুরক্ষিতও করা গেল। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে এই জ্ঞাতিশত্রুরা কিন্তু আসর জমিয়ে রেখেছে। এমনিতে বঙ্গ বিজেপি দলের তিন মাথার ঘিলুর একটা বড় অংশ তো ব্যস্ত থাকে অন্য শিবিরের ছক খুঁজে বের করে তাদের আটকাতে, সেটাই এই বাংলাতে বিজেপির থমকে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট, তার উপরে রিজিওনাল তালুকদার কিছু জন্মেছে, যাঁরা বিভিন্ন পকেটে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। এরাই তারা যাদের মধ্যে এক্কেবারে আদি নব প্রশ্নে মারকাটারি লড়াই চলতে থাকে। আমরা সেই পুরনো মুরলী ধর লেনের ক্যাডার, তোরা তো সেই ৭ শতাংশ ভোটের ক্যাডার গোছের লড়াইও চলতেই থাকে, সেটাই বিষয় আজকে, বঙ্গ বিজেপি নেতারা আপাতত একে অন্যকে ব্রহ্মাস্ত্র দিয়ে ঘায়েল করতে ব্যস্ত।

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির আগে তৈরি করা হয়েছিল নির্বাচন পরিচালন কমিটি। মোট ১০১ জন সদস্য ছিলেন কমিটিতে। তাঁদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল ৩৫টি বিভাগ। সেসব তালিকাতে দিলীপ ঘোষের নাম ছিল না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও ওই কমিটিতে ছিলেন পাঁচ সাধারণ সম্পাদক। মোট ১৩ জনের তালিকায় ছিলেন দুই সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ। সেখানেও ছিল না দিলীপের নাম।

আরও পড়ুন: Aajke | বীরভূমে কেষ্ট বিনা তৃণমূল, হিসেবটা দেখে নিন

তো লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আমরা জানি। এবারে দিলীপ ঘোষ কোনও পদে নেই। না বিধায়ক না সাংসদ। কিন্তু তিনি তাঁর বাহিনী ধরে রাখতে চক্কর কাটছেন। ওদিকে ক্ষোভ ছিলই। দাবি উঠেছিল অভিনেত্রী নয়, চাই ভূমিপুত্র। তবে স্থানীয়দের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে লোকসভায় হুগলি কেন্দ্রে ফের টিকিট পেয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যার জেরে কোন্দল চরম আকার নিয়েছিল বিজেপিতে। লকেটের বিরোধিতায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছিলেন হুগলির ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। হেরেছিলেন লকেট, বলেছিলেন দলের কোন্দলের জন্য হার, কিন্তু সেই কোন্দল কি থেমেছে? আমাদের কাছে খবর তা খানিক বেড়েছে, একে অন্যের দিকে মিসাইল দাগা চলছে। কিছুদিন আগেই দলের সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ‌্যায়ের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আলোড়ন উঠেছিল। ওই পোস্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই, বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীর করা স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে জগন্নাথের মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে রাজ্যের কোন নেতা এসএসসিতে চাকরির জন্য কত সুপারিশ করেছেন, সেই সম্পর্কিত একটি তালিকা দিয়েছিলেন তিনি। তালিকার প্রথমেই ছিল দিব্যেন্দুর নাম। দিব্যেন্দু ছাড়াও পোস্টে প্রাক্তন আইপিএস তথা বর্তমান বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষেরও নাম উল্লেখ করেন জগন্নাথ। দলের জাতীয় মুখপাত্রের তালিকাতেও রয়েছেন ভারতী। জগন্নাথ পোস্টে সেইসঙ্গে লেখেন, কোনও সেটিং নেই, কেউ ছাড় পাবেন না। একটু সময় লাগতে পারে! তো এভাবে সরাসরি দলেরই এক নেতা বিরোধী দলনেতার ভাইকে টার্গেট করায় আলোড়ন শুরু হয় বঙ্গ বিজেপিতে। সে আলোড়ন আরও গভীরে গেছে, একে অন্যকে দেখে নেওয়ার জন্য অস্ত্রে শান দিচ্ছেন তাঁরা। এদিকে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি দলের সভাপতি ক’দিন আগেই ভালোরকমের মারধর খেয়েছিলেম এই বিজেপি কর্মকর্তাদের হাতে, মনে আছে নিশ্চয়ই, সেসবের পরে আবারও সভাপতি হয়েছেন সেই উনিই। সেই দক্ষিণ কলকাতায় আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নাকি বুথ স্বশক্তিকরণের বৈঠক ছিল, তো শোনা গিয়েছিল সেখানে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা রাকেশ সিংয়ের নেতৃত্বে আঘাত হানতে পারে, তাই মিটিং দলের কার্যালয় থেকে একটা বেসরকারি হলে সরানো হয়েছিল। তো সেখানেও রাকেশ ঘনিষ্ঠ ওঙ্কারনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হানো আঘাত কর্মসূচি পালন হয়েছে, রাকেশ সিংয়ের দিকে আঙুল; উঠতেই তিনি বলেছেন, আমি মারলে পিছন থেকে মারব না, সামনে থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ছুড়ব। কাণ্ডখানা ভাবুন একবার, মিসাইল ছোড়াছুড়ি হচ্ছে এই বঙ্গে, ছুড়ছেন বিজেপি ক্যাডারেরা একে অন্যের দিকে। আমরা আমাদের দর্শকদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, উপর থেকে নীচে চূড়ান্ত দলীয় কোন্দল নিয়ে সংগঠনহীন বিজেপি দলের পক্ষে আগামী নির্বাচনে তৃণমূল দলের মোকাবিলা করা সম্ভব? শুনুন মানুষজন কী জবাব দিয়েছেন।

ওদিকে তৃণমূল দল গুটোচ্ছে তার শেষ প্রস্তুতির সুতো, মাস পেরলেই তৃণমূলের শহীদ দিবস। ২১ জুলাই দিনটাতে প্রতি বছর কলকাতা ও জেলা স্তরে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শহীদ স্মরণ করে থাকে রাজ্যের শাসকদল। এবার একটু আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে বসছে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। ডাকা হয়েছে দুই সাংগঠনিক জেলা– কলকাতা উত্তর ও বীরভূমের কোর কমিটিকেও। মানে তৃণমূল ফাটল সারাচ্ছে, বিজেপি ফাটল বাড়াচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Narendra Modi | Abhishek Banerjee | মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে অভিষেকের? দেখুন বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
Calcutta High Court | ২ চিকিৎসকের বদলির মামলায় শুনানি কবে? দেখুন বড় আপডেট
01:11:41
Video thumbnail
NIA | Calcutta High Court | এবার কলকাতা হাইকোর্টে ভ/র্ৎ/সনার মুখে NIA, দেখুন বড় আপডেট
01:20:55
Video thumbnail
Fake Voter | TMC | নিউটন বিতর্কে নাম উঠছে তৃণমুলের বড় নেতার, দেখুন চাঞ্চল্যকর তথ্য
55:05
Video thumbnail
Weather Update | বঙ্গে গরমের ‘কামব্যাক’? বৃষ্টির সম্ভাবনা আবার কবে থেকে? দেখুন আবহাওয়ার খবর
02:07:21
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | বঙ্গ বিজেপি নেতারা আপাতত একে অন্যকে ব্র/হ্মাস্ত্র দিয়ে ঘা/য়েল করতে ব্যস্ত
10:46
Video thumbnail
Sheikh Hasina | ফের সরাসরি বক্তব্য রাখছেন হাসিনা, কী বলছেন শুনুন
03:39:00
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবর, দেখুন একনজরে সরাসরি
02:21:30
Video thumbnail
Narendra Modi | Abhishek Banerjee | মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে অভিষেকের? দেখুন বড় আপডেট
05:15
Video thumbnail
Politics | মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ভোটের আগেই নীতীশকুমার
03:47