ব্যারাকপুর: শনিবার নোয়াপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল মজুমদার খুনের(TMC Leader Murder Case) ঘটনায় বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল নোয়াপাড়া থানার পুলিস। জানা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত বিজয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ দলীয় পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নোয়াপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল। সেই সময় ইছাপুর মানিকতলার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাছে তাঁর পথ আটকায় দুই দুষ্কৃতী। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে গোপালবাবুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নোয়াপাড়া থানার পুলিস। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ বর্মা বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে পৌঁছন ঘটনাস্থলে। ঘটনায় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত বিজয় মুখোপাধ্যায় নামে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গোপালের এলাকায় ভালো সুনাম রয়েছে। মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়িয়েছে। সেই মানুষটাকে এইভাবে সরিয়ে দিল। এর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: Elephants Attack: ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় মৃত্যু, মেদিনীপুরে চাষের জমিতে তাণ্ডব গজরাজদের
পরিবারের পক্ষ থেকে যেমন অভিযোগ করা হচ্ছে তেমনি দলীয়ভাবেও অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। এই ঘটনার সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা নির্মল ঘোষ। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও একধাপ এগিয়ে বলেছেন, অর্জুন সিং একটা খুনি। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন। তবে তৃণমূলের তরফে দুষ্কৃতীদের শাস্তির পাশাপাশি বিজেপির দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই খুন হয়েছে। পুরসভা ভোটের আগে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।