বাঁকুড়া: বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বামেরা। এর মধ্যেই এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম (CPIM)। প্রথমবারের এক আদিবাসী মহিলা সিপিএম-এর বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন। জঙ্গলমহলে জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে দেবলীনা হেমব্রমের (Deblina Hembram) হাতে তুলে দেওয়া হল গুরুদায়িত্ব। বৃহস্পতিবার সিপিএম-এর ২৪তম জেলা সম্মেলনের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। তাঁর এই পদোন্নতি নিয়ে শুধু বাঁকুড়া নয়, গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলেই চর্চা শুরু হয়েছে।
দেবলীনা হেমব্রমের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৯৬ সালে। সেই বছর তিনি বাঁকুড়া জেলার রানীবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো সিপিএম-এর বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৬ সালে আবারও রানীবাঁধ থেকে জয়ী হয়ে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী হন দেবলীনা। ২০১১ সালে যখন গোটা রাজ্যে তৃণমূলের পরিবর্তনের ঝড় বয়ে যায়, তখনও তিনি নিজের আসন ধরে রাখেন। রাজ্যজুড়ে সিপিএমের পতনের মধ্যেও দেবলীনা হেমব্রম দলের লড়াকু আন্দোলনের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার ভুয়ো ভিডিও ভাইরাল করে ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ
কিন্তু দিন দিন বাঁকুড়া জেলায় সিপিএমের সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করে। দলীয় কর্মীরাও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তবে দেবলীনা হেমব্রমের নেতৃত্বে জঙ্গলমহলে নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করার স্বপ্ন দেখছেন বাম নেতৃত্ব। দেবলীনার মতে, আদিবাসী মহিলা হিসাবে দায়িত্ব পাওয়াকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকের অত্যাচার এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে সকল শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে দলগতভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে।”
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য দেবলীনার নতুন দায়িত্ব পাওয়াকে কোনও গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি ও সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, “অচল আধুলির কোনও দাম নেই। কুমোরটুলির মডেল এনে সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।”
দেখুন আরও খবর: