মেদিনীপুর: নিজের কন্যা সন্তানকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেলেন বাবা। শনিবার বিকেলে এমনই এক মর্মস্পর্শী ঘটনার সাক্ষী থাকল মেদিনীপুরের দাসপুর। তারপর অসহায় শিশুটিকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করেন তার মা। চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত নিজের মায়ের কাছে ফেরে শিশুটি।
ঘটনাটি শনিবার দাসপুরের। ঘাটাল থেকে পাঁশকুড়া গামী একটি বাসের ওঠেন এক মদ্যপ ব্যক্তি। বাসে উঠেই এক মহিলার কাছে নিয়ে শিশুকে রেখে দিয়ে নেমে যান তিনি। লোকটি ফিরে আসবে বলে অপেক্ষায় থাকেন এই মহিলা। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও ওই বাসে আর ফিরে আসেনি শিশুটির বাবা। বাস ততক্ষনে ঘাটালে পৌঁছে গেছে। শিশুটিও ক্রমাগত কেঁদে চলছে। অগত্যা নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ঘাটাল হাসপাতালে হাজির হয় ওই মহিলা। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে পুলিশ মারফত খবর যায় চাইল্ড লাইনের কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাবালিকার নাম রিয়া। দাসপুর থানা এলাকার সীমন্ত ও সীমা রাউতের একমাত্র সন্তান সে। বেশ কয়েকদিন ধরেই পারিবারিক সমস্যা চলছিল সীমান্ত ও সীমার মধ্যে।
আরও পড়ুন: দেড় মাসের মধ্যে ৮০ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে ঢুকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ২ মাসের টাকা

সম্প্রতি মেয়ে রিয়াকে নিয়ে বাপের বাড়ি গোকুলপুরে গিয়েছিলেন সীমা। সেখান থেকে তাদের তাড়াতাড়ি ফিরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকেন অভিযুক্ত সীমান্ত। সীমা তা মানতে নারাজ হলে রিয়াকে নিয়ে পালিয়ে আসে সীমান্ত। বাসে রেখে পালিয়ে যায় সে।
আরও পড়ুন: কৃষকদের ‘রেল রোকো’তে ১৩০ জায়গায় ৫০ ট্রেন অবরুদ্ধ, বাতিল একাধিক
গত ১৭ অক্টোবর পুলিশের মারফত নিজের মেয়ের খোঁজ পান সীমা। সোমবার সাতসকালে হাজির হন দাসপুর থানায়। তারপর স্থানীয় চাইল্ড লাইনের ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চে হাজির করানো হয় তাঁদের। সেখানে শিশুটির মা তিনি নিজে। সেই প্রমাণ দেন সীমা দেবী। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ছোট্ট রিয়াকে নিজের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ওয়েলফেয়ার কমিটি।