ঝালদা: ঝালদায় (Jhalda) নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রীর চাঞ্চল্যকর দাবি৷ যা নিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় (Jhalda Congress Councillor Murder) নতুন মোড় নিয়েছে৷ তিনি ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন৷ তৃণমূলে যোগ দিতে হুমকি দেন বলে দাবি করেন৷
নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর দাবি, গত ১১ মার্চ রাতে স্বামীকে ঝালদা থানার আইসি তুলে নিয়ে যায়৷ থানায় বসিয়ে তৃণমূলে যোগ দিতে হমকি দেন৷ স্বামী তৃণমূলে যোগ দিতে চাননি৷ এ কারণেই তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে নিহতের স্ত্রীর দাবি৷ পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা থানার আইসি-র শাস্তির দাবি করেন৷ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের খুঁজে বের করে যথাযোগ্য শাস্তির দাবি করেছেন৷ এলাকার তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ সুরেশ, শ্যাম কান্দু, নরেন কান্দু, ভিন তেওয়ারি ও বিশ্বনাথ কান্দুরা তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন৷

রবিবার সন্ধেয় বাঘমুন্ডিতে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী তপন কান্দুকে কেন খুন করা হয়৷ তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দোষারোপের পালা। এই ঘটনায় পুলিস দুজনকে আটক করেছে। তাঁদের একজন নিহত তপন কান্দুর ভাই তথা এলাকার তৃণমূল কর্মী নরেন কান্দু। অন্যজন হল সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে তপন কান্দুর কাছে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী নরেন কান্দুর ছেলে দীপক কান্দু। দু-নম্বর ওয়ার্ডেই ভোটে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল জেঠা- ভাইপোর। কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় দুই আত্মীয় তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও আটক নরেন কান্দুর স্ত্রী ববি কান্দুর দাবি তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক।

আরও পড়ুন-CWC Meet: আগামী বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের জন্য তৈরি দল, জানিয়ে দিল কংগ্রেস
ঝালদা পুরসভায় মোট আসন ১২। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় ৫টি তে, কংগ্রেস যেতে ৫টি তে। নির্দলরা পায় ২টি। সেই হিসেবে এখনও বোর্ড গঠনের অবস্থায় নেই তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যুতে একটি ওয়ার্ড শূন্য হল। দুই নির্দলের মধ্যে আরেকজন তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছেন। ফল প্রকাশের কিছুক্ষণ পরেই তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তা হলেও তৃণমূলের পক্ষে রইল ৬ জন। অর্থাৎ, গরিষ্ঠতা অর্জনে ম্যাজিক ফিগারের থেকে একজন কম তৃণমূলের দিকে। তপন কান্দুর মৃত্যুতে কংগ্রেসের জেতা ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়াল ৪ এ। সেই কারণেই পুরবোর্ড দখলের তত্ত্বটি সামনে উঠে এসেছে।