কোচবিহার: স্বাধীন রাজ্য নয় এবার দাবি স্বাধীন রাষ্ট্রের। দাবি না মানলে সরাসরি সশস্ত্র আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিল উত্তরবঙ্গের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও (KLO)। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই সংগঠন। তবে এবার আর কেএলও –এর প্রধান জীবন সিং নন। নিজেকে কেএলও-র স্বঘোষিত বিদেশ সচিব পরিচয় দিয়ে পাভেল কোচ নামের এক ব্যক্তি কামতাপুর রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়েছেন। যদিও ওই ভিডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি।
কারা এই কেএলও? ১৯৯৫ সালে জীবন সিং –এর হাত ধরেই এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের জন্ম। প্রথম থেকেই এই সংগঠন উত্তর পূর্ব ভারতের বোরো জঙ্গি গোষ্ঠী এনডিএফবি-র খুব ঘনিষ্ঠ। উত্তরবঙ্গের ৭ জেলা, বিহারের উত্তর অংশ, অসম, মেঘালয়ের কিছু অংশ নিয়ে পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবি এঁদের বরাবরই। এই বার ভিডিওতে রাজ্য ছেড়ে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানাল কেএলও।
ভিডিও বার্তায় ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলেছেন পাভেল কোচ। তাতে কেএলওর কেন্দ্রীয় সরকারের উপর মোহভঙ্গের বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় সংবিধানে কামতাপুরি মানুষদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে সৎ মায়ের ভূমিকা পালন করছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের হাতের পুতুল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম প্রশাসন। কামতাপুরি মানুষদের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অত্যাচার চালিয়ে আসছে দিনের পর দিন ধরে। কিন্তু ওই বঞ্চনার শেষ কোথায় কেউ জানে না। তাই এবার আর সময় নষ্ট না করে পাল্টা জবাব দেওয়ার সময় এসেছে এবং তার জন্য চুড়ান্ত ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কেএলও। বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিলে তার মাশুল গুনতে হবে ভারত সরকার, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গকে।
আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তে বিপুল ঘাটতির মুখে বিভিন্ন সংস্থা
গত দু’মাসে চারটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও দায়ের হয়েছে। এর পর বৃহস্পতিবার রাতে ফের ফেসবুক পেজ থেকে নতুন ভিডিও পোস্ট করে কেএলও। দাবি করে, আগে যে কোচবিহার রাজ্যের উল্লেখ ছিল, তার যা সীমা সেই অনুযায়ী স্বাধীন কামতাপুর রাষ্ট্র তৈরি করা হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি উত্তরবঙ্গের পুলিশ অফিসাররা।
আরও পড়ুন: অসমে ট্রাকে আগুন জঙ্গিদের, মৃত কমপক্ষে ৫