কার্শিয়াং : মঙ্গলবার কার্শিয়াং এর টাউনহলে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলাকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ঠিক দুবছর পরে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন। গত ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াংএ এসেছিলেন। আজ সেই ২০২০ এর ২৬ শে অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী আবার সেই কার্শিয়াং যাচ্ছেন। সাম্প্রতিককালে পাহাড়ে ধসে ক্ষয়ক্ষতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন তাই নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পাহাড়বাসী।
তবে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে চিঠি পাঠিয়ে নিজের বিরুদ্ধেই তদন্ত চেয়েছেন দার্জিলিং হিল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তা ছেত্রী। দলের কিছু নেতা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই শান্তা ছেত্রী এই চিঠি পাঠান। সোমবারেই প্রাক্তন পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রাস্তার কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, সামনেই পাহাড়ের জিটিএ নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে দিকে চোখ রেখেই প্রশাসনিক বৈঠক থেকে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী কোনও বার্তা দেবেন মঙ্গলবারের প্রসাশনিক বৈঠকে।
আরও পড়ুন – গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে লাগানো হল কালি, ছেঁড়া হল ‘গোয়েঞ্চি নাভি সাকাল’ এর পোস্টার
একদা পাহাড়ের সুপ্রিমো তথা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং সোমবার বলেছেন তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে উন্নয়নের কাজে তিনি আছেন। তিনি চান পাহাড়ের স্থায়ী সমস্যার সমাধান।
মূলত পাহাড়ের একদা প্রধান শক্তিশালী দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এখন তিন ভাগে বিভক্ত। বিমল গুরুং, বিনয় তামাং এবং অনিত থাপার আলাদা দল। জি এন এল এফও দু’ভাগে বিভক্ত। জি এন এল এফ সভাপতি মন ঘিসিংয়ের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক অজয় এডওয়ার্ড ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন – ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের পদত্যাগের দাবি ডেরেকের
পাহাড়ের মানুষ এখন আর হিংসা চায় না। চায় শুধু উন্নয়ন। তাঁরা বুঝে গিয়েছেন পাহাড়ের উন্নয়ন করা রাজ্য সরকারের পক্ষেই সম্ভব। তবে কি আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসই পাহাড়ের মানুষের প্রধান ভরসা হয়ে উঠবে? সেটাই এখন দেখার।