শিলিগুড়ি: আগামী রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচন। আজ, শুক্রবার প্রচারের শেষ দিন। উত্তরবঙ্গে কয়েকদিন ধরেই শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামী রবিবার অর্থাৎ ভোটের দিনও বৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় সেদিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যত বেশি সংখ্যক ভোট করাতে চায় তৃনমূল কংগ্রেস।
২০১১ সালের পরে বহু চেষ্টাতেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দখল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কখনও বামফ্রন্টকে, কখনও কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে কিছু পঞ্চায়েত দখল নিতে পারলেও, সরাসরি মানুষের রায়ে মহকুমা পরিষদ দখল করতে পারেনি তৃণমূল। দীর্ঘদিন অধরা থাকার পর সদ্য শিলিগুড়ি পুরসভায় এই বছরেই তৃণমূল এককভাবে বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই মহকুমা পরিষদ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী রাজ্যের শাসকদল।
মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন জনকল্যাণকর প্রকল্পের উপর ভিত্তি করেই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। শিলিগুড়ি পুরসভা ভোটে দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি গত ১৭ তারিখ থেকে শিলিগুড়িতে রয়েছেন। এবারেও অরূপ নির্বাচনের ব্যাপারটা তদারকি করছেন। রোজ মিটিং-মিছিল থেকে শুরু করে ছোট ছোট গ্রুপ মিটিং করে চলেছেন। মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব ও প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের কৌশল নির্ধারণ করেছেন। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে ২৬ জুন পর্যন্ত তিনি শিলিগুড়িতেই থাকবেন।
আরও পড়ুন Asansol TMC: ২১ জুলাই ভিড় বাড়াতে কাউন্সিলরদের হুমকি তৃণমূল নেতার
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটই তৃণমূলের পক্ষে যেতে পারে। গতবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ বামেদের দখলে থাকলেও এ বছর বিভিন্ন এলাকায় বামেদের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপিরও একই হাল। যদিও বিজেপির একগুচ্ছ নেতৃত্ব এসে প্রচারে নেমেছে। যদিও বেশকিছু আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল বাধা দলেরই লোকজন নির্দল প্রার্থী হয়ে যাওয়ায়। তা সত্ত্বেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ শাসকদল দখল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন Eknath Shinde: মারাঠা বিদ্রোহ হুমকি-পালটা হুমকিতেই থিতু, জট কোন পথে?