কলকাতা: আমি অবাক। চার বছরে পুলিশ একটা হত্যা কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে পারে না। যেখানে একজন বৃদ্ধাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ যখন পারবে না কেন সিআইডিকে তদন্ত ভার দেয়নি। চার বছর পর পুলিশ সিট গঠন করতে চাইছে। কি হচ্ছে এটা। রাজ্য পুলিশ এতটা অকর্মণ্য নয়। এর পিছনে অন্য কারণ আছে। মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ ২০১৮ সালে মধ্যমগ্রামে গুলি করে খুন করা হয় বৃদ্ধা দিপালী বিশ্বাসকে। মধ্যমগ্রাম থানায় খুনের মামলা রুজু করেন বৃদ্ধার পুত্র তরুণ বিশ্বাস। অভিযোগ, আর এক পুত্র জিতেন বিশ্বাসের স্ত্রী ও অন্যান্যরা দিপালী দেবীকে খুন করেছেন।
এই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে জিতেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন, উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপারের নজরদারিতে দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কাউকে গ্রেফতার করেনি। তাই তদন্তের স্থানান্তর চেয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জিতেন।
আরও পড়ুন:Amit Shah: আজ ত্রিপুরায় ভোটের ঢাকে কাঠি অমিত শাহর, বিজেপির রথযাত্রার সূচনা
জিতেনের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, প্রায় চার বছর ধরে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তদন্ত সঠিক ভাবে এগোচ্ছে না। অভিযোগকারী তরুণ বিশ্বাসের স্ত্রী এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। সম্পত্তি দখল করার জন্যই জিতেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর প্রভাবেই পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে না। দিপালী দেবীর মৃত্যুর পিছনে ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের হাত আছে কি না, সে বিষয়টিও তদন্তের প্রয়োজন।
সরকারি আইনজীবী অমল সেন আদালতের কাছে জানান, আদালত সময় দিলে ছয়জনের সদস্য নিয়ে সিট গঠন করা হবে এই তদন্তের। তদন্তের কাজ যে বিলম্ব হয়েছে, এ কথা আমি স্বীকার করছি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, আমি অবাক। তিন বছরে পুলিশ একটা হত্যা কাণ্ডের তদন্ত শেষ করতে পারে না। যেখানে একজন বৃদ্ধাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ যখন পারবে না কেন সিআইডিকে তদন্ত ভার দেয়নি। চার বছর পর পুলিশ সিট গঠন করতে চাইছে। কি হচ্ছে এটা। রাজ্য পুলিশ এতটা অকর্মণ্য নয়। এর পিছনে অন্য কারণ আছে।