হুগলি: তৃণমূল বিধায়কের পা টিপে দিচ্ছেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। সেই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media Viral Post)। আর তাতেই চাপে শাসকদল। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চুঁচুড়ার তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের (TMC MLA Asit Majumdar) পা টিপে দিচ্ছেন দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রুমা রায় পাল। এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ বিষয়ে বিজেপির (BJP) কটাক্ষ, বিধায়কের সেবা করলেই মিলবে পদ ও টিকিট।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। ওইদিন দিদির দূত কর্মসূচিতে দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে পঞ্চায়েত সদস্য পীযুষকান্তি ধরের বাড়িতে রাতে থাকেন তিনি। সেদিন আচমকাই অসিতে পা শক্ত হয়ে যায়। তার জন্যই পা টিপে দিয়েছেন বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুমা রায় পাল। তিনি বলেন, বিধায়ক আমার বাবার মত, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আজ যে জায়গায় আছি, তা বিধায়কের জন্যই। উনি আমার বাবার থেকেও বয়সে বড়। সেদিন তাঁর পা শক্ত হয়ে যাওয়ায় আমি মালিশ করি। তারপর কিছুটা ঠিক হয়। এমনকী আমি ওই ছবি ফেসবুকে দিয়ে লিখেছিলাম, বিধায়ক আমার কাছে ভগবান। সেই কথাটা ভাইরাল হল না, কিন্তু শুধু ছবিটা ভাইরাল হল। আসলে কিছু এমন মানসিকতার মানুষ থাকে যারা এসব করে। আমি একজন একা মহিলা বলে হয়তো আরও বেশি করে এগুলো করছে।
আরও পড়ুন:JNU Agitation: বিবিসির তথ্যচিত্র দেখা নিয়ে উত্তেজনা জেএনইউতে, রাতে পাথর বৃষ্টি
অন্যদিকে অসিতের দাবি, তাঁর পায়ে অস্ত্রপচার হয়েছে, সেলাই পড়েছে একশো আটটি। দিদির সুরক্ষা কবচে গিয়ে পা ব্যাথা হওয়ায় দলের কর্মী হিসাবে নয়, একজন মেয়ে ও বোন হিসেবে পা টিপে দিয়েছেন রুমা। এতে অন্যায় কিছু নেই। বিজেপির আহাম্মকেরা কোনও শিক্ষা পায়নি। তাই এসব বলছে।
এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, বিধায়কের সেবা করলে তবেই তো পদ ও টিকিট পাওয়া পাবে। মহিলা কর্মীদের দিয়ে দাসিদের মতো পা টেপাচ্ছেন। আসলে কিছু না দিলে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই প্রধান হতে, সদস্য হতে গেলেও এসব করতে হয়। একজন বিধায়ক যাকে এত মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তিনি এমন কাজ করেন বলতেও লজ্জা হয়।