কলকাতা: টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কলাকৌশলীদের সংগঠন ‘ফেডারেশন'(Federation) এর নানান আইনের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিত্র পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য(Director Bidula Bhattacharjee)। এরপর তার পথ অনুসরণ করে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে(হাইকোর্ট) গেলেন আরো ১৪ জন পরিচালক- অভিনেতা। এদের মধ্যে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়(Prambrata Chattopadhya), অনির্বাণ ভট্টাচার্য(Anirban Bhattacharjee), সুদেষ্ণা রায়ের(Sudeshna Roy) মতন নামও রয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বিদুলা ভট্টাচার্যের করা মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এর আগে আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল যে ‘ফেডারেশন’ কোন ভাবেই বিদুলাকে কাজে বাধা দিতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস(Federation President Swarup Biswas) জানিয়েছেন, ‘আগে দেখা যাক আদালতে যারা গিয়েছেন তারা কি জানান। তারপর আমাদের সময় এলে মহামান্য আদালতকে আমরা জানাবো।’
আরও পড়ুন:ঈদে রীনার সঙ্গে সেলফি কিরণের,এন্ট্রি নেই গৌরীর ! আমির কোথায়!
ফেডারেশনের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজক ও অভিনেতাদের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই এর ফলে আমরা টলিপাড়ায় অচলাবস্থা দেখতে পাই। ফেডারেশন এর নানান নিয়ম-কানুন এর বিরুদ্ধে অনেকেই কথা বলেন।
অনেকেরই ধারণা সেই জন্যই বাইরের কোন প্রযোজক টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে চান না।
কিছুদিন আগেই ফেডারেশনের নানান নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। আর তার ফলে তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। যা কাটাতে এগিয়ে এসেছিলেন অভিনেতা-সাংসদ দেব(Actor-MP Dev) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়(Prasenjit Chattopadhya) ও গৌতম ঘোষরা(Goutam Ghosh)। তাদের মধ্যস্থতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Bandopadhya) সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হয়েছিল। কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে কমিটি এই সমস্যার সমাধানের একটি রিপোর্ট জমা দেবে। কিন্তু অভিযোগ যে এই কমিটি আর শেষ পর্যন্ত গঠন হয়নি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য।
এ প্রসঙ্গে পরমব্রত জানান যে তারা কয়েকজন সদস্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই পিটিশন দাখিল করেছেন। পরিচালকদের গিল্ড সভাপতি সুদেষ্ণা রায়(Directors’ Guild President Sudeshna Roy) জানান যে তারা সব মিলিয়ে ১৪ জন ব্যক্তিগতভাবে হাইকোর্টে মামলা ফাইল করেছেন। জয়েন্ট পিটিশন হবে কিনা সেটা আইনজীবীরা ঠিক করবেন। একটি বিষয় উল্লেখ করেন যে,’আমরা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নই আমরা কোন ব্যক্তিরও বিরুদ্ধে নই কিন্তু গত কয়েকদিন যেভাবে চলছে তা মানা যাচ্ছে না। অনেককে ব্যক্তিগতভাবে বেছে নিয়ে সমস্যা ফেলা হচ্ছে। অসহযোগিতা করা হচ্ছে। এমনকি আমাদের মেডিক্লেম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে। আর সেই জন্যই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’