ধার্মিক কারণে তো বটেই এর পাশাপাশি সর্দি কাশিতে এমন কী রূপচর্চাতেও তুলসী গাছের উপকারিতার শেষ নেই। তুলসীতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও কে আর প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও পটাশিয়াম। এখানেই শেষ নয় তুলসীর পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার। তবে এত কিছু পুষ্টিকর উপাদান আছে বলেই যে সবার জন্য তুলসী উপকারী তা ভেবে নিলেই বিপদ। কেন, জানুন-
রক্ত পাতলা করে দেয়
রোজ তুলসী পাতা খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যায়। তাই যাঁরা আগে থেকে ব্লাড থিনার নিচ্ছেন তাঁরা রোজ তুলসী পাতা খেলে তাঁদের ব্লাড ক্লটিংয়ের প্রক্রিয়ার গতি হ্রাস পেতে পারে। এর ফলে অল্প কেটে গেলে রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রেগনেন্সির সময়
তুলসী পাতায় এমন কিছু কমপাউন্ড রয়েছে যা গর্ভাশয়ের সঙ্কুচনের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও তুলসী পাতা খাবেন না।
লিভারের জন্য ক্ষতিকারক
বেশি পরিমাণে তুলসীর পাতা খেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে লিভার। এমনকী হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
হাইপার থায়রড থাকলে তুলসী পাতা খাবেন না
হাইপার থাইরয়েড রয়েছে যাঁদের তাঁরা তুলসী পাতা খেলে আরও সমস্যায় পড়বেন। তুলসী পাতা বেশি খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
ডায়বিটিকদের জন্য তুলসী খাওয়া ঠিক নয়
ডায়বিটিসের জন্য যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান তাঁদের তুলসীর পাতা খাওয়া উচিত না। খেলে আচমকা সুগার ফল করতে পারে।
এছাড়া তুলসীতে ইউজেনাল বলে একধরণের ন্যাচারাল কেমিক্যাল থাকে। তাই রোজ যদি তুলসী পাতা খাওয়া হয় তা হলে কাশির সঙ্গে রক্ত উঠে আলা, জোরে জোরে শ্বাস- প্রশ্বাস নেওয়া ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা হতে পারে। পেট খারাপ তুলসী যদি রোজ খাওয়া হয় তা হলে পেটে একাধিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।