ওয়েব ডেস্ক: হার্ট বা কিডনি নিয়ে লোকের মাথাব্যথা প্রবল। কিন্তু লিভার নিয়ে সকলে এতটাও ভাবেননা। কিন্তু এই লিভারই কখনও মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে। খাবার হজম থেকে শরীর থেকে বজ্র পদার্থগুলো বের করা সমস্ত গুরুত্বপুর্ণ কাজগুলি করে লিভারই। এছাড়াও অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য বাড়ছে ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে অতিরিক্ত মেদ জমে যায় লিভারে। যার জেরে গুরুত্বপুর্ণ অংশটি ক্রমশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
লিভারে মেদ জমলে খাওয়া দাওয়ায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ চলে আসে। তেল মশলা ছাড়া খাওয়া, মেনুতে থাকবে শুধুই সবজি সেদ্ধ। আর সারাদিন কি খাবেন আর কি খাবেন না, তা ভাবতেই সময় চলে যায় অনেকটা। কেউ বলে বাদাম খেলেই ফ্যাট বাড়বে। কোন ফল ভালো আর কোনটি নয় টা নিয়েও বাড়ির লোকেরা মনে বাধে সংশয়।
আরও পড়ুন: ডাবের জলের ফেস ম্যাসাজ ক্রিম শুনেছেন আগে? রইল তৈরির পদ্ধতি
তবে এই ফ্যাটি লিভার প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা বলেন, চকলেট থেকে বাদাম সবই খেতে পারবেন নির্দ্বিধায়। এগুলো আপনাকে সুস্থ থাকতেই সাহায্য করে। খেজুর বা আখরোট নিয়েও প্রশ্ন থাকে। এবিষয়েও চিকিৎসকেরা বলেছেন, খেজুর বা আখরোট কিন্তু ফ্যাটি লিভারেও খাওয়া চলে। খেজুরে রয়েছে সলিউবল ফাইবার। আখরোটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। খেজুরের সলিউবল ফাইবার লিভারে ফ্যাট সঞ্চয়ের মাত্রা হ্রাস করে। খাবার থেকে পুষ্টি এবং শর্করা শোষণের পদ্ধতি শ্লথ করে দেয়। এর সঙ্গে যদি আখরোট যোগ করা যায়, ফল মেলে আরও বেশি। আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভারের প্রদাহ কমাতে এবং উৎসেচকের ক্ষরণ বৃদ্ধিতে সহায়ক বলছে একটি গবেষণা।
ডার্ক চকোলেট নিয়ে একাধিক গবেষণায় এর উপকারিতার কথা উঠে এসেছে। মেজাজ ভাল রাখা থেকে ওজন বশে রাখা সংক্রান্ত অনেক উপকারই মেলে ডার্ক চকোলেট খেলে। ডার্ক চকোলেট মেলে পলিফেলনলস। উচ্চমাত্রার ডার্ক চকোলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এবং বাদামে থাকে ভিটামিন ই, সি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
শুধু এগুলোই নয়, আপনি খেতে পারেন টক দইও। টক দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক যা পেটে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও খেতে পারেন বিভিন্ন রকমেরফলও।
দেখুন আরও খবর