ওয়াশিংটন: বিবিসি-র (BBC) তথ্যচিত্র (Documentary) এদেশে নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকার, সেই সঙ্গে এই তথ্যচিত্র সম্পর্কিত যাবতীয় টুইটও মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এই নিয়ে আমেরিকার (US) মত, তারা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ভারতকেও সেই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছে। দৈনিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসকে (Ned Price) ভারতের বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন এক পাকিস্তানি সাংবাদিক। তার উত্তরে মুখপাত্রটি বললেন, আমি সাধারণভাবে বলতে চাই, বিশ্বজুড়ে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের (Free Press) গুরুত্বকে সমর্থন করি আমরা।
দুই অংশে ভাগ করা বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্রে তুমুল সমালোচনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। ভারতীয় মুসলিমদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং ২০০২ সালের গুজরাত (Gujarat) দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকা এই তথ্যচিত্রের উপজীব্য বিষয়। ইউটিউবে প্রকাশিত হতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Republic Day Parade 2023: দিল্লির কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি মার্কিন মুখপাত্র (US Spokesperson)। তিনি যা বলেছেন তা উপর উপর। পাক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নেড প্রাইস বলেন, অভিব্যক্তির স্বাধীনতা, ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার মতো মানবাধিকারের গুরুত্বকে গণতান্ত্রিক নীতি হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে আসছি আমরা।
এর আগেও তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে ভারতের সমালোচনা করতে চায়নি আমেরিকা। বরং দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাই তুলে ধরেছেন মার্কিন মুখপাত্র। যখন পাকিস্তানি প্রকাশকের হয়ে এক সাংবাদিক তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন নেড প্রাইস বলেন, তিনি তথ্যচিত্র সম্পর্কে কিছু জানেন না। বরং তিনি বলেন, এমন অনেক বিষয় আছে যা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে রেখেছে। রাজনৈতিক বন্ধন আছে, অর্থনৈতিক বন্ধন আছে, আছে দুই দেশের মানুষে মানুষে গভীর সম্পর্ক। তবে অতিরিক্ত যে বিষয়টি আমরা শেয়ার করি তা হল মূল্যবোধ, যে জিনিসটা ভারতীয় গণতন্ত্র (Indian Democracy) এবং মার্কিন গণতন্ত্রে (American Democracy) সমান।