কলকাতা টিভি ডিজিটাল: মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অত্যন্ত অনুরাগী এলন মাস্ক (Elon Musk)। মৌলিক অধিকারের এই ক্ষেত্র নিয়ে বহুবার সওয়াল করেছেন তিনি। মালিকানা হাতে নিলে টুইটারে (Twitter) নির্ভয়ে মতপ্রকাশ করা যাবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সেই তিনিই টুইটারের ইঞ্জিনিয়ারদের (Engineer) শাস্তি দিলেন। ওই ইঞ্জিনিয়ারদের অপরাধ, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) মাস্কের সমালোচনা করেছিলেন। সমালোচনার শাস্তিস্বরূপ কর্মীদের ছাঁটাই করার দুটি ঘটনা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।
এরিক ফ্রনহোয়েফার নামে এক ইঞ্জিনিয়ার টুইটারের অ্যান্ড্রয়েড (Android) মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। মাস্কের একটি পুরনো টুইট রি-পোস্ট করে তিনি বলেন, টুইটারের অ্যাপের প্রযুক্তিগত দিকটা মাস্ক ‘ভুল’ বোঝেন। কী বলতে চাইছেন ইঞ্জিনিয়ারটি, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে বলেন মাস্ক। এরপর প্রশ্ন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে টুইটার অ্যাপ অত্যন্ত মন্থর, তা নিয়ে ফ্রনহোয়েফার কী ভাবছেন?
আরও পড়ুন: Mehran Karimi Nasser Spielberg Terminal Man Died: স্পিলবার্গের ‘টার্মিনাল ম্যান’ প্রয়াত
এরপর একাধিক টুইট করে নিজের চিন্তাভাবনা ব্যাখ্যা করতে থাকেন ফ্রনহোয়েফার। এই দেখে এক টুইটার ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ফ্রনহোয়েফার কেন এসব ব্যক্তিগতভাবে মাস্ককে শেয়ার করছেন না। তাতে ইঞ্জিনিয়ার বলেন, হয়তো মাস্কের উচিত ব্যক্তিগতভাবে প্রশ্ন করা, স্ল্যাক কিংবা ইমেলের মাধ্যমে। এরপর গত সোমবার টুইট করে এলন মাস্ক জানিয়ে দেন, ফ্রনহোয়েফারকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সেই টুইটের জবাবে ‘স্যালুট’ ইমোজি দেন সংস্থায় আট বছর ধরে কাজ করা ইঞ্জিনিয়ারটি, যেটা অতি সম্প্রতি বেশিরভাগ ছাঁটাই হওয়া টুইটার কর্মীই করেছিলেন।
অন্য একটি ঘটনা বেন লেইব নামে এক ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে। তিনিও মাস্কের একটি টুইট উদ্ধৃত করে লিখেছিলেন, টুইটারের টাইমলাইন স্ট্রাকচারের প্রাক্তন প্রধান হিসেবে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, এই লোকটা কী বলছে তা নিজেই জানে না। প্রায় এক দশক ধরে কাজ করা লেইব ছাঁটাই হন গত রবিবার। প্রসঙ্গত, মালিকানা হাতে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে সাত হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছেন এলন মাস্ক।