কলকাতা: বিধানসভায় (Assembly) শাসক এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোর দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। তাঁর মতে, বিধানসভায় দুই পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ করতে হয় স্পিকারকে। রাজ্যপাল এবং স্পিকারকেও (Governor and Speaker) একসঙ্গে চলতে হবে। শুক্রবার রাজ্যপাল বিধানসভায় পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ছাড়াও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক মন্ত্রী এবং বিধায়ক।
রাজ্যপাল বিধানসভায় সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিলেও তাঁর প্রথম উপস্থিতিতে বিধানভায় অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত রইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির কোনও বিধায়ককেই দেখা যায়নি। তা নিয়ে অনুযোগ শোনা যায় পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেবের গলায়। এর আগেও বিরোধী নেতা বিধানসভার একাধিক অনুষ্ঠান বয়কট করেন। বৃহস্পতিবারই শুভেন্দু জানান, রাজ্যের দাবি জানাতে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে দিল্লি দরবারে শামিল হচ্ছে না বিজেপি (BJP)।
আরও পড়ুন: AAP’s Delhi Mayor: দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয়, ডেপুটি বিধায়ক-পুত্র
ক্যালকাটা ফ্লাওয়ার গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বিধানসভার যৌথ উদ্যোগে ৭০তম ফুলমেলা বা পুষ্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল। উদ্বোধনের পর রাজ্যপাল মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে চাননি রাজ্যপাল। প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সংবাদমাধ্যমকে দেখেই এগিয়ে যেতেন, আগ বাড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা বলতেন। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, ধনখড় রাজভবনকে কার্যত বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে যান। তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। তাঁকে বড়দিনের উপহার দেন মমতা। পরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল অত্যন্ত সজ্জন লোক। আশা করি, তাঁর সঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না। তিনি রাজ্য সরকারকে সবরকমের সাহায্য করছেন।