Justice Rajashekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট মামলায় ভিডিও ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ

কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajashekhar Mantha) এজলাস বয়কট সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। মামলায় ভিডিও ফুটেজ (Video Footage) জমা দেওয়ার নির্দেশ। ওইদিন যাঁরা এজলাসের দরজা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আদালতে উপস্থিত ওই আইনজীবীদের (Lawyers) চিহ্নিত করার সুপারিশ।
  এই মামলায় বুধবার বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ হচ্ছে, রাজ্যকে ৯ জানুয়ারির ১৩ নম্বর এজলাসের বাইরের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজের কপি ৬ জায়গায় জমা দিতে হবে। তারা হল, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, হাইকোর্ট বার লাইব্রেরি, ইনকর্পোরেট ল সোসাইটি, অ্যাডভোকেট জেনারেল। এরা ভিডিও ফুটেজ (Footage) দেখে ওই দিন যারা ১৩ নম্বর এজলাস চলতে বাধা দিয়েছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করবে। এবং তাদের নাম বৃহত্তর বেঞ্চে জমা দেবেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার (Kolkata Police Commissioner) বিচারপতি মান্থার বাড়িতে পোষ্টার পড়া নিয়ে রিপোর্ট জমা করল বৃহত্তর বেঞ্চে। তবে কমিশনারের রিপোর্টে খুশি নয় বৃহত্তর বেঞ্চে। পোস্টার কোন প্রেসে ছাপা হয়েছে। কে ওই পোস্টারের বরাত দিয়েছে সেই বিষয় জানাতে সময় চাওয়ায় অসন্তুষ্ট বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: Valentine: ফেব্রুয়ারি মানেই  প্রেমের মরশুম। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রেমের সপ্তাহ, সামনেই  ভ্যালেন্টাইনস ডে। তবে যাকে ঘিরে এত কিছু, কে সেই  ভ্যালেন্টাইন?
বিচারপতি সিভাগ্নামন পর্যবেক্ষণে (Observation) জানিয়েছেন, ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে কারা করেছেন। প্রত্যেকে প্রত্যেককে চেনেন। আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, আমি দেখেছি কেউ বাধা দেয়নি। বিচারপতি শিভাগ্নামন বলেন, আপনারা চাইলে চিহ্নিত করুন। না হলে মনে করবেন না আদালত পাওয়ার লেস। আমারই চিহ্নিত করবো। এই প্রেক্ষিতে অরুণাভ ঘোষ (Arunavo Ghosh) বলেন, এটা সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বিচারপতি (Justice) শিভাগ্নামণ বলেন, ১৩ নম্বর এজলাসে কোনও সরকারি আইনজীবী অংশগ্রহণ করছেন না। এটা খুব, খুব খারাপ। বিচারপতি শিবাগ্নামন বলেন, সেখানে পুলিশ অফিসার আর জেলাশাসকরা (DM) সওয়াল করছেন। রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল তো জরুরি। সুদূর পুরুলিয়া থেকে জেলাশাসক এসে সওয়াল করবেন। এটা হতে পারে না। তার কী দোষ? সরকারি আইনজীবী না থাকা নিয়ে বিচারপতি আই পি মুখার্জি বলেন, এটা ডিগনিটি বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bar Association)। বিচারপতি সিভাগনামন বলেন, গভর্মেন্ট প্লিডার আপনি, সরকারি আইনজীবীদের বলুন ১৩ নম্বর এজলাসে সওয়ালে অংশ নিতে। জিপি বলেন, আমি পারি না।
বিচারপতি শিভাগনামন বলেন, কেন পারবেন না (ধমক)? এটা আপনার কাজ। সমস্ত সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলুন। করতে হবে। তারা সরকারি প্যানেলে আছে।
আই পি মুখার্জি বলেন, এতে সরকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শামিম আহমেদ বলেন, ১৩ নম্বর এজলাসে সরকারি আইনজীবী অংশ নিলে প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জি পি বলেন, আমি সরকারি আইনজীবীদের অনুরোধ করবো। অরুণাভ ঘোষ বলেন, এটা একটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ মার্চ।