কলকাতা: বুধবার কলকাতায় একাধিক হাই ভোল্টেজ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। কাছাকাছি এলাকায় একই সঙ্গে এতগুলি রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে গোলমালের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে তৃণমূল (TMC) অভিযোগ করেছে, এদিন বিজেপি গোলমাল পাকাতে পারে। পাল্টা বিজেপির (BJP) অভিযোগ, শাসকদল ঝামেলা করতে পারে।
আজ বেলা ১২টা নাগাদ রেড রোডে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee) ৪৮ ঘন্টার জন্য ধরনায় বসছেন। অদূরেই শহীদ মিনার ময়দানে তৃণমূল ছাত্র (TMCP) এবং যুব সংগঠনের সমাবেশ। আদালত শর্ত সাপেক্ষে ওই সভার অনুমতি দিয়েছে। ওই সভাস্থলের ১০০ মিটার দূরে ডিএর দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ অবস্থান চালাচ্ছে ৬২ দিন ধরে। তাদের পুলিশ দুদিন সেখানে বসতে বারণ করেছে। মঞ্চের নেতারা জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁরা অবস্থান করছেন। অবস্থান তোলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তারা আদালতে তৃণমূলকে সভা করতে না দেওয়ার আবেদন করে। তাতে আদালত সাড়া দেয়নি। তবে একই সঙ্গে একাধিক দল বা সংগঠনকে কেন একই জায়গায় পুলিশ কর্মসূচি করতে অনুমতি দিল, আদালত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আরও পড়ুন: Pharma Companies Lose Licence | ১৮টি ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হল
আজ দুপুরেই বামফ্রন্ট নিয়োগ দুর্নীতি এবং রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল করবে পারক সার্কাস পর্যন্ত। আবার প্রায় একই সময়ে বিজেপি শ্যামবাজারে অবস্থানে বসবে। সব মিলিয়ে আজ কলকাতার একটা বড় অংশ অচল হয়ে যেতে পারে বলে পুলিশের আশঙ্কা।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আজ হাঙ্গামা করতে পারে। তৃণমূলের সভা থেকে যদি সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত পড়ে, তাহলে আজ বিকেলের পরে কলকাতা অচল করে দেওয়া হবে। তৃণমূল মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, বিজেপি জানল কী করে যে তৃণমূল হাঙ্গামা করবে। তাহলে কি ওরাই কোনও পরিকল্পনা করেছে? সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, আমাদের মধ্যে নাকি সরকারের লোক ঢোকানো আছে। এমনটাই বলা হচ্ছে। এটা আমাদের ভাবাচ্ছে।
পুলিশ অবশ্য আয়োজনের কোনও ত্রুটি রাখছে না। পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য। ময়দানে তৃণমূল এবং সরকারি কর্মচারীদের সভাস্থলের মাঝে টিনের ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। আদালত বলেছে, পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।