কলকাতা: কারিগরি ক্ষেত্রে এজেন্সি দিয়ে নিয়োগ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। বুধবার সকালে নিউটাউনে কারিগরি ভবনের সামনে জড়ো হন তাঁরা। প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টেকনো সিটি থানার পুলিশ। পুলিশ বাধা দিতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা।
বিদ্যালয়ে প্রাইভেট এজেন্সিগুলোকে সরিয়ে সরাসরি সরকারের অধীনে NSQF(ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেম ওয়ার্ক) এর মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ল্যাব আসিস্ট্যান্টদের নিয়োগ করতে হবে। এবং যারা আগেই নিযুক্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁদের স্থায়ীকরণ করতে হবে বলে এদিন জানান আন্দোলনকারীরা।

রাজ্যের ৬৭৬ টি সরকারি স্কুল ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এজেন্সি দ্বারা নিয়োগ করা হয়। মোট ১৩টি বৃত্তিমূলক বিষয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের এইভাবে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ২০১৩ সাল থেকে ১৩২৭ জন NSQF (ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেম ওয়ার্ক) শিক্ষক শিক্ষিকা ও ১১১ জন ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বৃত্তি মূলক শিক্ষা দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের জন্য বাড়ি প্রকল্পে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা
রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রাইভেট এজেন্সিগুলির বদলে সরাসরি সরকারের অধীনে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ল্যাব অ্যাসিসটেন্টদের স্থায়ীকরণ সহ ৭ দফা দাবি নিয়ে নিউটাউন কারিগরি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে টেকনো সিটি থানার পুলিশের নেতৃত্বে তাঁদের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কারিগরি ভবনে গিয়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে দেখা করেন। তাঁদের দাবিদাওয়া সম্বলিত ডেপুটেশন জমা করে। দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ সরকার খুনে লালবাজারের হোমিসাইড শাখাকে তলব সিবিআই-এর