কলকাতা : ইউক্রেন (Ukraine) থেকে কলকাতা (Kolkata)। যোগসূত্র কলকাতার দুটি সংশোধনাগার (Jail)। একটি প্রেসিডেন্সি (Presidency) অন্যটি দমদম (Dumdum) । এই দুটি সংশোধনাগারে বন্দি ইউক্রেনের দুই নাগরিক (Ukrainian)। একজন ভালাতামির পাস্কে অন্যজন নাতাসা। পাস্কের সাজা শেষ হয়ে গিয়েছে ১২ বছর আগেই। তবুও সংশোধনাগারই আজও তার ঠিকানা । নাতাসার সাজা এখনও শেষ হয়নি।
ভালাতামিরের জন্ম হয়েছিল ইউএসএসআর-এ । ইউক্রেন তখন ইউএসএসআর-এর মধ্যে। ভারতে তার গল্পের শুরু হয় ২০০৩ সালে। ইউক্রেনের বাসিন্দা ভালাতামির পাস্কেকে ১৪ বিদেশি আইনে গ্রেফতার করা হয় উত্তরবঙ্গ থেকে। প্রথমে রাখা হয় শিলিগুড়ি সংশোধনাগারে। পরে নিয়ে আসা হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।
৭০ ঊর্ধ্ব ভালাতামিরেরে সাজা শেষ হয়ে গিয়েছে ২০১০ সালে। সে আর ইউক্রেনে ফিরে যেতে চায় না। সাজা শেষ হওয়ার পরও গত ১০ বছর ধরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ওই সেলেই বৌদ্ধ ধর্মে মনোনিবেশ করেছে । বৌদ্ধ গ্রন্থ পড়া, চর্চা করে দিন কাটছে। ভালাতামির বর্তমানে কোনও বৌদ্ধ মঠে গিয়ে নিজের বাকি জীবন কাটাতে চায়।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee Book Fair: রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হোক নয়াদিল্লি, চান মমতা
কিন্তু তার দেশে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার অতর্কিত আক্রমণে কার্যত বিপর্যস্ত ইউক্রেন। এই বিষয় তাকে জিজ্ঞেস করা হলে যুদ্ধ বিরোধী ভালাতামির ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ সম্পর্কে বলে, শুধু ইউক্রেনের উপর নয়। কোনও রকমের যুদ্ধকেই সমর্থন করে না। শান্তিই জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
অন্য দিকে রয়েছে নাতাসা । নামটা ঝাপসা হওয়ার কথা নয় । কারণ ইউক্রেনের এই বাসিন্দাকে দমদম বিমানবন্দরে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক। বর্তমানে সে-ও দমদম সংশোধনাগারে বিচারাধীন রয়েছে।