কলকাতা: ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল (Bharat Jakat Majhi Pargana Mahal) আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার চাক্কা জ্যামের (Chakka Jam) ডাক দিয়েছে। এর ফলে হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ছাড়াও উত্তরবঙ্গের আদিবাসী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে সড়কপথে যান চলাচল স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মহলের পক্ষ থেকে তোলা দাবিগুলি পূরণ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা রাজ্যব্যাপী সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পথ অবরোধ (Road Blocked) করবে। এর ফলে গোটা রাজ্যেই এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা।
তাদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে বীরভূমের দেওচা পাচামিতে (Deucha Pachami) খোলামুখ কয়লা খনি বাতিল করতে হবে। পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করতে হবে। সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলে অবিলম্বে স্থায়ী শিক্ষক ও পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বনাধিকার আইন কঠোরভাবে লাগু, প্রত্যেক জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের কলেজ স্থাপনের দাবি সহ আরও বেশ কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছে তারা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: কেষ্টর জামিন মামলার শুনানি শেষ, বুধ-বৃহস্পতিবার রায়দান
এদিনই দাঁতনের একটি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রী সহ আদিবাসী সংগঠন। এর জেরে ব্যাহত পঠনপাঠন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সাঁওতালি মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ করল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল আদিবাসী সংগঠন।
মঙ্গলবার স্কুলের গেটের সামনে সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়ারা প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে গেট বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে এই আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে স্কুলের গেটের সামনে জমায়েত হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে এই স্কুলে সাঁওতালি মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হলেও কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আর তার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন ও বঞ্চিত হচ্ছে সাঁওতালি মাধ্যমের পড়ুয়ারা। তাই ৩ জানুয়ারি সকাল থেকে স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে এই বিক্ষোভ আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।