ঝালদা: পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর (Cogress Councillor Tapan Kandu) তপন কান্দুর (Jhalda Councillor Murder) খুনের ৬ দিনের মাথায় ভাইরাল আরও একটি অডিয়ো ক্লিপ (Jhalda Audio Clip)৷ ভাইরাল হওয়া ওই অডিয়ো ক্লিপে নিহতের ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শোনা গিয়েছে এক পুরুষের কণ্ঠস্বর৷ তিনি বলছেন, ‘আমাকে মেরে ফেললে তোর কাকার মৃত্যুর বদলা হয়ে যাবে, তাহলে চলে আয়৷ আমার কাছে বন্দুক আছে৷ আমাকে মেরে দিয়ে যা৷’ কথাগুলি কে বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে অডিয়ো ক্লিপে একবার ‘বড়বাবু’র উল্লেখ আছে৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবারও থানার কোনও অফিসার মিঠুনকে ফোন করেছিলেন? রইল সেই কথোপকথনের কিছু অংশ৷ যদিও ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল৷
ফোনের ওপারে পুরুষ ব্যক্তিটি বলছেন, ‘মিঠুন, তুই যদি মনে করিস আমার চাকরি চলে গেলে, আমি সাসপেন্ড হলে, আমার বউ আমার ছেলে না খেয়ে মরবে, তাতে তোর লাভ হবে? তোর কাকিমা লিখেছে, আমি তাঁকে ভোটের আগে চমকিয়েছি৷ আমি কি তোর কাকিমাকে চিনি? কোনওদিন তোর কাকিমার সঙ্গে কথা বলেছি? না তোর কাকিমা আমার সঙ্গে কথা বলেছে?’ ওই পুরুষ ব্যক্তিটিকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘শোন, সেরকম যদি মনে করিস, আমাকে গুলি করে দিয়ে মেরে ফেলে চলে যা৷ আমাকে মেরে ফেললে তোর কাকার বদলা হয়ে যাবে, তাহলে চলে আয়৷ আমার কাছে বন্দুক আছে৷ আমাকে মেরে দিয়ে যা৷’
দিন চারেক আগে মিঠুন একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এনেছিলেন৷ সেই অডিয়ো ক্লিপেও এক পুরুষ ব্যক্তিকে মিঠুনের সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল৷ মিঠুনের দাবি, ওই পুরুষ কণ্ঠস্বরটি ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের৷ ফোনে তিনি মিঠুনকে বলেছিলেন, তৃণমূলের টিকিটে জেতা প্রার্থী-ই পুরসভার চেয়ারম্যান হবে৷ তবে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন৷ তপন খুনের ঘটনায় আইসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার৷ নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর অভিযোগ, থানার আইসি তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন৷ তিনি রাজি হননি৷ তাই খুন করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: Ration Card: ৫০ লাখ রেশন কার্ড ব্লক করল খাদ্য দফতর