বোলপুর: আগামী ১৩ মার্চ বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৫৭ তম লেকচার সিরিজ (Lecture series) । এবার সেই বক্তৃতামালায় অংশ নেবেন বলিউডের (Bollywood) অভিনেতা (Actor) অনুপম খের (Anupm Kher)। তবে তিনি মঞ্চে হাজির থাকবেন নাকি ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন সে ব্যাপারে বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ শনিবার পর্যন্ত কিছু জানাতে পারেনি। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটের সময় শুরু হবে এই লেকচার সিরিজ। অভিনেতা অনুপমের বক্তৃতার বিষয় বস্তু ‘ব্যর্থতার ক্ষমতা’ (Power Of Failure)।
অনুপম খেরকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। তিনি নিজে গেরুয়া শিবিরের লোক বলে পরিচিত। তাঁর স্ত্রী বিশিষ্ট অভিনেত্রী কিরণ খেরও প্রাক্তন বিজেপির সাংসদ। এমনিতেই বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে (Vidyut Chakraborty) তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিজেপির লোক বলে দাগিয়ে দিয়েছে। তাঁর কাজকর্মের মধ্যে দিয়েও বিজেপির ভাবধারাই প্রতিফলিত হয় বলেই এই সব দলের অভিযোগ। এর আগে বিশ্বভারতীতে কালীপুজোর ধারণা, নাগরিকত্ব আইন বিষয় নিয়ে আলোচনা আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বাধার ফলে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নির্দিষ্ট মঞ্চে ভাষণই দিতে পারেননি বিজেপির রাজ্যসভার সদ্য স্বপন দাশগুপ্ত। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্য বিতর্ক কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তাঁর কথাবার্তাতেও গেরুয়া মনোভাব পরিষ্কার ফুটে ওঠে বলে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Tejashwi Yadav CBI | জমির বিনিময়ে চাকরি কাণ্ডে তেজস্বী যাদবকে ফের তলব সিবিআইয়ের
এবার বক্তৃতামালার সূচনায় বিজেপি ঘেঁষা বলিউডের অভিনেতা অনুপম খেরকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েও তাই নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আশ্রমিকদের একাংশ এ ব্যপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যদিও তাঁরা এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সেই ক্ষোভের কোথায় উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও সেটি ভালোভাবে মেনে নেবেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিশ্বভারতীর দায়িত্ব পেয়েছেন চার বছরের কিছু বেশি সময়। এই সময়কালে ৫৬ টি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বভারতীতে। অধিকাংশ বক্তিতার বিষয়বস্তু এবং বক্তার নাম নিয়ে কোনও না কোনও সময় প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের একাংশের দাবি, নিরাকার ব্রহ্মোহের উপাসনা করার জন্য শান্তিনিকেতন আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বভারতী স্থাপনের পর সেই রীতি মেনে এখনও প্রতি বুধবার এবং বিশেষ কয়েকটি দিনে ব্রহ্মোপাসনা হয়। কিন্তু এই উপাচার্যের আমলে রাজ্যে বিজেপি কেন বিধানসভায় জিতল না,কালীপূজার ধারণা ইত্যাদি বিষয়ে নিয়েও আলোচনা আয়োজন করা হয়েছে কিছুদিন আগেও।