কফিনবন্দি দেহটার সামনে তখন সেনা নায়করা কপালে হাত দিয়ে স্যালুট জানাচ্ছেন। সেনা আধিকারিক বলছেন, তার নিষ্ঠা, দেশের জন্য আত্মত্যাগ সব ব়্যাঙ্কের সেনাকে সাহস যোগাবে। কেউ সম্বোধন করছেন বীর সৈনিক বলে। জঙ্গি ডেরায় ঢুকে দুটি গুলি খেয়েও আক্রমণ থামায়নি সে। যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরের রক্ত বেরিয়ে অচেতন না হয়ে পড়ছে লড়াই করে গিয়েছে। জুম নামে উচ্চ প্রশিক্ষিত ওই কুকুরটির সাহস দেশের মানুষের অভিনন্দন কুড়িয়েছে আগেই। প্রার্থনা করেছিল সবাই। তবু হাসপাতালে শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হওয়া সেই সাহসী সৈনিক জুমকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল মহা সমারোহে। সেনা বাহিনীর উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শ্রীনগরে শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন যুদ্ধের এ এক অন্য কাহিনিযুদ্ধের এ এক অন্য কাহিনি
সেনাবাহিনীর ২৯টি কুকুরের ইউনিটও তাকে অভিবাদন জানায়। এই সপ্তাহে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় একটি অভিযানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় সে। সেই ঘটনায় তার জন্য লস্কর-ই-তইবার দুই জঙ্গিকে নিকেশ করতে সুবিধা হয় জওয়ানদের। শ্রীনগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল এমরন মুসাভি এদিন জানিয়েছেন, বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টে চিনারওয়ার মেমোরিয়ালে বীর সৈনিক জুমকে শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে উচ্চ পদস্থ সেনা আধিকারিকরা হাজির ছিলেন। দুবছর বয়স থেকেই জুম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশ নিয়েছে। গত সোমবার টাংপাওয়াতে জঙ্গিদের অবিমরাম গুলিবৃষ্টির মধ্যে ঢুকে পড়ে জখম হয়েছিল কুকুরটি। ক্ষিপ্রতা, সাহস, লুকিয়ে শত্রু ডেরায় ঢুকে পড়ার ক্ষেত্রে তার অসামান্য দক্ষতা ছিল।