হায়দরবাদ: ভারত রাষ্ট্র সমিতির চার বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির (BJP) যোগাযোগ সংক্রান্ত তদন্তের ভার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে তুসে দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট (Telangana High Court)। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K. Chandrashekar Rao) এই তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল। আদালত সেই সিটও ভেঙে দিয়েছে। সিট অবশ্য হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাবে বলে জানিয়েছে। এর ফলে কেসিআর সরকার একটা বড় ধাক্কা খেল।
বিজেপির আইনজীবী নেতা এন রামচন্দ্র রাও আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা বলেছিলাম, সিট এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নিরপেক্ষ্ তদন্ত করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত সমস্ত টেপ রয়েছে। স্টিং অপারেশন করে সেই টেপ রেকর্ড করা হয়েছিল। এর থেকেই বোঝা গিয়েছিল, সিটের তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না।
আরও পড়ুন: BSF Jawan: মেয়ের আপত্তিকর ভিডিয়ো ছড়ানোর প্রতিবাদ করায় মার খেয়ে মৃত্যু বিএসএফ জওয়ানের
ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে পাঁচটি আবেদন জমা পড়ে। তিনটি করা হয়েছিল অভিযুক্ত বিধায়কদের তরফে, একটি করে বিজেপি। পঞ্মটি করেন এক আইনজীবী। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে বিজোপির মামলাটি বাতিল হয়ে যায়।
কয়েক মাস আগে সাইবারাবাদ পুলিশ তেলঙ্গানার ময়নাবাদে একটি ফার্ম হাউসে অভিযান চালিয়েছিল। পুলিশের দাবি, সেখানে তারা একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেয়। সেখানেই শাসকদল কেসিআরের চার বিধায়ককে একশো করে মোট চারশো কোটি টাকা দিয়ে কিনে কেসিআর সরকার ভাঙার চক্রান্ত হয়। রোহিত রেড্ডি নামে এক বিধায়কের দাবি, তাঁকে একশো কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীরও অভিযোগ ছিল, বিজেপি সরকার ফেলার চক্রান্ত করছে। বিজেপির অভিযোগ, গোটা ঘটনাই সাজানো। রেড্ডিকে ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর টাকা নয়ছয় সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। রোহিত রেড্ডির করা এফআইআরে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপিতে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডি লেলিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। সেই মামলাতেই সোমবার হাইকোর্ট সিট ভেঙে তদন্তের ভার সিবিআইকে দিল।