বিহার: তৃতীয় লিঙ্গের (Transgender) মানুষদের পৃথক জাতি হিসাবে চিহ্নিত করল বিহার। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাগঠবন্ধন সরকার আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে বিহারে জাতভিত্তিক জনগণনা শুরু হবে বলে সূত্রে খবর।স্বাধীনতার পর এই প্রথম জাতিভিত্তিক গণনা হচ্ছে। এর আগে ১৯৩২ সালে দেশে এরকম গণনা হয়েছিল। মূলত, সংরক্ষণের আওতায় পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়কে সুবিধা দিতে, এই গণনা হবে বলে জানিয়েছে বিহার সরকার। এই গণনার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
সূত্রে খবর, এই জাত গণনায় বিভিন্ন জাতের জন্য আলাদা কোড নাম্বার করা হয়েছে। যেমন, ব্রাহ্মণদের কোড নম্বর ১২৪। ভূমিহারদের ১৪২। কায়স্থদের ২১। যাদবদের ১৬৭। রাজপুতের ১৬৯।এরই সঙ্গে ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ সদস্যদেরও আলদা জাতি হিসেবে তাঁদের কোড নম্বর ২২ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিহারে ২১৫টি জাতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিহারের দোস্তানসাফার (Dostanasafar) নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিচালক রেশমা প্রসাদ (Reshma Prasad) দাবি করেছেন, তৃতীয় লিঙ্গকে আলাদা জাত হিসাবে বিবেচনা করা ‘অপরাধমূলক কাজ’। একজন মানুষের লিঙ্গ পরিচয় কীভাবে তাঁর জাত হতে পারে? একইভাবে পুরুষ বা মহিলাদের কি আলাদা জাত হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে? যদি তা না হয়, তাহলে কীভাবে তৃতীয় লিঙ্গ (transgender)-কে জাত হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে? তাঁর আরও দাবি, রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগকে অবশ্যই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে, যাতে কোনও ব্যক্তির লিঙ্গ পরিচয়কে জাত হিসাবে বিবেচনা করা না হয়। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে নীতীশ কুমারকে ভেবে দেখার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | স্বাধীন সংবাদমাধ্যম, মোদিজির স্বপ্ন
এই বিষয়ে বিশিষ্ট ট্রান্সপারসন অধিকার কর্মী গ্রেস বানু (Grace Banu) জানিয়েছেন, বিহার সরকারের এই পদক্ষেপ, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি একটি ‘সামাজিক অবিচার’। ‘ট্রান্সজেন্ডার’, যা একটি লিঙ্গ পরিচয়, তা কীভাবে জাত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে? ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ে অনেক জাতি রয়েছে। রাজ্য সরকার যদি তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের গণনা করতে না জানে, তবে আমরা তাঁদেরকে সাহায্য করতে পারি।