কর্ণাটক: বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এরই মধ্যে বিজেপির বেআব্রু চেহারা সামনে এল কর্ণাটকে (Karnataka)। দক্ষিণ ভারতের (South India) এই রাজ্যে বিজেপি শিবির এখন বিভক্ত। অনেকেই কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন। অনেকেই বিজেপির (BJP) মধ্যে অস্বস্তিতে রয়েছেন। শনিবার এমনই দাবি করলেন ওই রাজ্যে কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরাই ক্ষমতায় আসব। কংগ্রেসের কর্মীদের বলেছি কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
ইতিমধ্যে কিছু নেতা টিকিট পাওয়া ইস্যুতে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেছে। বিজেপির ছবারের বিধায়ক ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার (Jagadish Shettar) কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। হুব্বালি ধারওয়াদ সেন্ট্রাল বিধানসভা থেকে টিকিট না পেয়ে তিনি বিজেপি ছাড়েন। শেট্টার লিঙ্গায়েত (Lingayat) নেতা। তিনি নিজের কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়বেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির আইনজীবী সেল চেষ্টা করছে যাতে কংগ্রেস নেতাদের অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়।
বিজেপির আইনি সেল ও মুখ্যমন্ত্রীর অফিস চেষ্টা করছে সবরকমভাবে যাতে কংগ্রেস নেতাদের মনোনয়ন বাতিল হয়। তবে এই বিষয়ে কর্ণাটকের বর্তমান বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধানের দ্বারা তৈরি হয়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে চলে। সেখানে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই নেই। হারের ভয়ে প্রতিদিন সকালে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ২২৪ আসনে কর্ণাটক বিধানসভার ভোট হবে আগামী ১০ মে।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টা আগামী নির্বাচনের আগে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে বাদ পড়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিধায়ক পদ ছেড়ে একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে চড়ে হুবলি থেকে বেঙ্গালুরুতে গিয়ে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, দলের কর্ণাটক প্রধান ডি কে শিবকুমার এবং সিনিয়র নেতা সিদ্দারাইমা সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। টিকিট না পেয়ে দলত্যাগের পর কংগ্রেসের খাতায় নাম লিখিয়েছেন রাজ্যের প্রভাবশালী লিঙ্গায়ত নেতা (Lingayat leader) লক্ষ্মণ সাভাডি (Laxman Savadi)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার (Former Chief Minister BS Yediyurappa) পর লিঙ্গায়ত সমাজে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন সাভাডি। তিনি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাতে হাত মেলান।