আগরতলা: তৃণমূল (TMC), বামফ্রন্টের (Left Front) পর বুধবার ত্রিপুরার (Tripura) নির্বাচনী ইস্তাহার (Election Manifesto) বা ‘সংকল্পপত্র’ (Sankalp Patra) প্রকাশ করল বিজেপি। আগরতলায় (Agartala) ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, এই রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে দিয়েছে বিজেপি। আগে ত্রিপুরাকে অবরোধ, জঙ্গি উপদ্রুত রাজ্য বলে চিনত লোকে। এখন ত্রিপুরাকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের রাজ্য বলে চেনে।
নাড্ডা বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিজেপি যদি ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে রাজ্যের প্রতিটি মেয়েকে ৫০ হাজার টাকার বালিকা সমৃদ্ধি বন্ড দেওয়া হবে। আদিবাসী ও উপজাতি ভোট টানতে কোকবোরোক ভাষাকে সিবিএসই এবং আইসিএসই পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: ‘মোদি-আদানি ভাই ভাই’ স্লোগানের মধ্যেই রাজ্যসভায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
অনুকূল চন্দ্র প্রকল্পে ৫ টাকায় পেট ভরে খাবারের প্রতিশ্রুতি ছাড়াও উপজাতিদের স্বশাসনের দাবিও মেনে নেওয়ার কথা রয়েছে ইস্তাহারে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার ৬ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হবে। অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা দেবে রাজ্য সরকার, বলেন নাড্ডা।
এদিকে, আজ, বুধবারই শুরু হয়ে গেল ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট। ‘ঘরে বসে ভোট’এর পর্বে এদিন বিশেষভাবে সক্ষম, অশীতিপর নাগরিক এবং কোভিড আক্রান্তরা ঘরে বসে ভোট দিলেন। এই ক্যাটেগরিতে ক্ষুদ্র পার্বত্য রাজ্যে ৮ হাজার ভোটার আছেন। এবারই নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। সেটা হল, যেসব নাগরিক ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকেন, কিন্তু কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দা, তাঁরা যাতে ভোটের দিন অংশ নিতে পারেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার ৮৫৬ কিমি সীমান্ত রয়েছে। বহু মানুষ এই দুই দেশের নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকেন। বিএসএফের দরজা দিয়ে তাঁরা ভারতে যাওয়া-আসা করেন।
ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী অফিসার গিট্টে কিরণকুমার দিনকররাও বলেন, কাঁটাতারের ওপারে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের তালিকা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার জন্য আমাদের অফিসাররা বাহিনীকে জানিয়েছেন। সরকারি এক পদস্থ কর্তা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৩২ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে।